সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক চলছিল কয়েকদিন ধরেই। অবশেষে কেরল কলমন্ডলম ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে (Arif Mohammed Khan) সরিয়ে দিল কেরল (Kerala) সরকার। বিজয়ন সরকার জানিয়ে দিয়েছে, আরিফের পরিবর্তে কোনও নামী শিক্ষাবিদকে ওই পদে বসানো হবে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই একসঙ্গে নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তারপর থেকেই কেরলের বাম সরকারের সঙ্গে তাঁর বিবাদ চরমে ওঠে।
গত বুধবারই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধান পালটাতে বিল আনা হয়েছে। কেরলের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেওয়া হবে। তার বদলে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের আচার্য পদে নিযুক্ত করা হবে।” অবশেষে একদিন যেতে না যেতেই পদক্ষেপ করল কেরলের বাম সরকার। জানিয়ে দিল নিয়মে বদল আসছে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে চেয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, নয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে সরানোর রাজ্যপালের নির্দেশের তীব্র সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন বলেছিলেন, “গণতন্ত্রকে সম্মান করে এমন কেউই এই ধরনের প্রবণতা মেনে নিতে পারবেন না। রাজ্যপাল (Kerala Governor) আরএসএস-এর এজেন্ট হিসাবে কাজ করছে।” সেই সঙ্গে জানিয়ে দেন, রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে প্রত্যাহার এবং তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে আরজি জানাবে কেরল সরকার।
আসলে সম্প্রতি কেরলের এপিজে আবদুল কালান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগকে ‘অবৈধ’ বলে জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের পরই উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। এরপরই সংঘাত চরমে ওঠে। কেরলের বাম সরকার জানিয়ে দেয়, আরিফের এহেন নির্দেশ একেবারেই অনধিকার চর্চা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.