সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কেরলে নীতি পুলিশের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ বছরের এক যুবক ও তাঁর বান্ধবী। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় ওই যুবক। বৃহস্পতিবার পালাক্কাদ জেলায় তাঁর বাড়ির সামনে থেকেই উদ্ধার হল ওই যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ। উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে লেখা, ওই দিনের অপমান সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি।
এর আগে প্রেম দিবসে ওই যুবক এবং তাঁর মহিলা বান্ধবী সঙ্গে কোল্লামের বিচে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে কোনও শৌচাগার না থাকায় একটি ঝোপের কাছে যান ওই যুবতী। তখনই তাঁদের ওপর চড়াও হয় অভিযুক্ত পাঁচ যুবক। যুবতীর উদ্দেশ্যে অশ্লীল ভাষায় কথা বলতে শুরু করে তাঁরা। ওই যুবক বাধা দিতে আসলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এখানেই থেমে থাকেনি ওই যুবকরা, দু’জনের ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
ওই যুবক-যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্তদের পরে গ্রেপ্তারও করে। কিন্তু ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন আক্রান্ত যুবক। তাঁর বন্ধুরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে বাড়ির বাইরে বেরোতেন না তিনি, একা একা থাকতেন। শেষ পর্যন্ত আর না পেরে এই চরম পথটাই বেছে নেন ওই যুবক।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ইতিমধ্যেই নীতি পুলিশদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কেরলে বরদাস্ত করা হবে না।’ যদিও এরপরেও থামেনি নীতি পুলিশদের তাণ্ডব। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগের আঙুল উঠেছে পুলিশের ওপরও। গত মঙ্গলবার তিরুবনন্তপুরমে দুই কনস্টেবলের হেনস্থার শিকার হন বিষ্ণু এবং আরতি নামে এক যুবক-যুবতী। পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন তাঁরা। এই ঘটনাটি সামনে আসতেই বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হয় পুলিশ প্রশাসন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.