সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই স্কুলে পড়ে সকলেই। কিন্তু সবার মেধা সমান নয়। তাই স্কুলে দু’ধরনের পোশাক পরে আসতে হবে পড়ুয়াদের। কেরলে একটি বেসরকারি স্কুলের এমনই সিদ্ধান্তে জমে উঠেছে বিতর্ক। শেষপর্যন্ত অবশ্য রাজ্যের শিশুকল্যাণ দপ্তরের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
[রাতের অন্ধকারে দুই বোনের গায়ে আগুন ধরিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা]
কেরলের মল্লপুরম জেলার পান্ডিক্কাপ শহরের ওই স্কুলটি বেসরকারি। ইংরেজি মাধ্যম ওই স্কুলের সন্তানদের পড়ানোর জন্য বেশ মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয় অভিভাবকদের। অভিযোগ, সম্প্রতি ভাল ছাত্র বলে পরিচিত ৩২ জন পড়ুয়াকে ধুসর রঙের পোশাক পরে স্কুলে আসতে বলা হয়। যদিও অন্য পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক আগের মতোই থাকে। পড়ুয়াদের প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষের এই বৈষম্যমূলক আচরণ মেনে নিতে পারেননি অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চাইল্ড লাইনে অভিযোগ জানান তাঁরা। অভিযোগ পাওয়ার পর, স্কুলের নয়া পোশাক বিধি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে পড়ুয়ারা কী ভাবছে, তা জানার একটি সমীক্ষা করা হয়। মল্লপুরম জেলার চাইল্ড লাইনের কো-অর্ডিনেটর আনোয়ার কারাক্কাদান বলেন, ‘স্কুলের নয়া পোশাক বিধি বেশির পড়ুয়াই মেনে নিতে পারেনি। আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ নয়া পোশাক বিধি প্রত্যাহার করে নিতে বলি।’ কিন্তু, স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই নির্দেশ মানেনি। এরপরই কেরল স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস ও জেলার চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির শরণাপন্ন হন মল্লপুরম জেলা চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা। আর তাতেই কাজ হয়। শেষপর্যন্ত নয়া পোশাক বিধি প্রত্যাহার করে নেয় ওই বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি।
[গোরক্ষপুরে আরও দুই শিশুর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ যোগীর]
যদিও পড়ুয়াদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ মানতে চাননি স্কুলের প্রিন্সিপাল আবদুল করিম। তাঁর দাবি, প্রতিটি শ্রেণিতে সহপাঠ্যক্রমিক কাজকর্মে নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কয়েকজন পড়ুয়াকে। তাই তাদের জন্য আলাদা পোশাক চালু করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই স্কুলের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে কেরল স্টেট কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস কর্তৃপক্ষ।
[সেনার ফাঁদে কাশ্মীরের আল কায়দা প্রধান জাকির মুসা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.