সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্তরের মধ্যগগনে দেশের স্বাধীনতা। রাত পোহালেই বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাবে তেরঙ্গা পতাকা। করোনা আবহে এবার স্বাধীনতা দিবস ভিন্ন। বিধি নিষেধ মেনেই তা উদযাপন করা হবে। অনেকেই বাড়িতে বসে এবার দিনটি কাটাবেন। এই সুযোগে জেনে নিতেই পারেন দেশের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
১) অন্ধ্রপ্রদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার(Pingali Venkayya) ডিজাইনের উপর ভিত্তি করেই আজকের ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা তৈরি। শোনা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকায় পিঙ্গালি ভেঙ্কাইয়ার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর দেখা হয়েছিল। সে সময় তিনি সেখানে ব্রিটিশ আর্মির হয়ে উপস্থিত ছিলেন। ১৯২১-এ কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভায় তিনি মহাত্মা গান্ধীকে পতাকার নকশা এঁকে দিয়েছিলেন।
২) ১৯০৭ সালের ২২ জুলাই নাকি জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে ভিখাজি কামা ভিন্ন একটি ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। সেই পতাকার উপরে ছিল সবুজ, মাঝে গেরুয়া এবং নিচে লাল রং।
৩) তর্কসাপেক্ষভাবে কলকাতার পার্সিবাগান স্কোয়ারে ১৯০৬ সালের ৭ অগস্ট বঙ্গভঙ্গ বিরোধী এক সভায় প্রথম ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলিত হয়।
৪) পতাকায় গেরুয়া রং ত্যাগ, শৌর্য ও সেবার প্রতীক। শান্তি ও পবিত্রতার প্রতীক সাদা এবং সবুজ রং জীবন ধর্ম, নির্ভীকতা ও কর্মশক্তির প্রতীক।
৫) মাঝে থাকে চব্বিশটি অক্ষ যুক্ত গাঢ় নীল রঙের অশোকচক্র।
৬) ১৯৫৩ সালের ২৯ মে এভারেস্টের শিখরে প্রথম ভারতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তেনজিং নোরগে।
৭) শুধুমাত্র দিনের বেলাতেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার নিয়ম রয়েছে। জাতীয় পতাকার উপরে আর কোনও রকমের পতাকা রাখার নিয়ম নেই।
৮) প্রথা অনুসারে পতাকাটিকে ৯০ ডিগ্রির বেশি আবর্তিত করা যায় না।
৯) শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির নির্দেশেই শোকের চিহ্ন হিসেবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার রীতি আছে। রাষ্ট্রপতি সেক্ষেত্রে শোককালীন সময়সীমাও নির্ধারিত করে দেন।
১০) রাষ্ট্রীয়, সামরিক বা কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনীর অন্ত্যেষ্টিতে যখন মৃতদেহ বা কফিনের উপর পতাকাটি আচ্ছাদিত করা হয়, গেরুয়া রংটি মৃতদেহ বা কফিনের উপর দিকে থাকে।
(যাবতীয় তথ্য সংগৃহীত)
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.