ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফুচকার (Pani puri) সঙ্গে জিভের এক লোভনীয় রসায়ন। কেবল পেটই নয়, মনকেও টইটম্বুর করে দেয় এর স্বাদ। আট থেকে আশি, কে না ভালবাসে ফুচকা খেতে? কিন্তু আচমকাই যদি জানতে পারেন, ফুচকা তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে শৌচাগারের জল! এমনই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হল কোলাপুরের (Kolhapur) ফুচকাপ্রেমীদের।
রাঙ্কালা সরোবরের কাছে রাস্তার উপরে ‘মুম্বই কা স্পেশাল পানিপুরী ওয়ালা’ লেখা এক ফুচকার গাড়ি। রীতিমতো জনপ্রিয় এই দোকান। সেই দোকানের ফুচকা খেতে রীতিমতো লাইন পড়ে যায় ক্রেতাদের। ধৈর্য ধরে অপেক্ষাও করেন তাঁরা। কিন্তু আচমকাই জানা যায়, ফুচকায় মেশানো হচ্ছে শৌচাগারের জল। কী করে তা জানা গেল? আসলে সম্প্রতি ওই দোকানের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে দেখা যায়, ফুচকা বিক্রেতা শৌচাগার থেকে জল এনে পাত্রে ভরছে। সেই জলেই তৈরি হচ্ছে ফুচকা। বিষয়টি ক্রমেই জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা। ক্ষোভে ফুঁসে উঠে দ্রুত ফুচকার সেই দোকান-গাড়িটির উপরে হামলা করে তারা। রাস্তার উপরে গড়াগড়ি খেতে দেখা যায় রাশি রাশি আলু। ফুচকার গাড়িটিকেও ভেঙে দেয় তারা।
এমনিতে অতিমারীর আবহে প্রথম থেকেই ফুচকা বিক্রির ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা এড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা ছিল। কয়েক মাস আগে থেকেই দেখা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংস্পর্শ বাঁচিয়ে ফুচকা বিক্রির নানা পন্থা অবলম্বন করছেন বিক্রেতারা। কেউ কেউ রীতিমতো ফুচকার এটিএমও বানিয়ে ফেলেছিলেন ক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের এই ফুচকা বিক্রেতার এমন আচরণ যেন এক উলট পুরাণ। তবে কেবল ফুচকা নয়, স্ট্রিট ফুডের বিষয়ে সামগ্রিকভাবেই স্বাস্থ্য সচেতনতার কথা বলা হয়েছে বারবার। সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে দোকানদার ও ক্রেতা উভয়কেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.