ফাইল ছবি
অর্ণব আইচ: কোনও ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেননি তিনি। তাই কোনও ব্যবসা বা চাকরি তিনি করেন, এমন প্রমাণও মেলেনি। সেখানে রাজারাম রেগের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল টাকার লেনদেন হল কীভাবে? আদালতে এমনই প্রশ্ন সরকারি আইনজীবীর। এদিকে, তেলেঙ্গানায় কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে রাজারাগ রেগের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে। সেগুলি যাচাই করতে তেলেঙ্গানা গিয়েছে কলকাতা পুলিশের টিম। উল্লেখ্য, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ছক কষার অভিযোগে ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত ডেভিড হেডলির সঙ্গী তথা ষড়যন্ত্রকারী রাজারাম রেগেকে মুম্বই থেকে গ্রেপ্তার করেছিল কলকাতা পুলিশ।
রবিবার পুলিশ হেফাজত থেকে রাজারাম রেগেকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। রাজারামের আইনজীবী তাঁর জামিনের আবেদন করেন। জামিনে বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁকে ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন রাজারামের আইনজীবী জানান, তিনি ব্যবসায়ী হিসাবে যে কোনও রাজ্যে যেতে পারেন। তিনি শুধু সাংসদের সঙ্গে দেখা করতেই চেয়েছিলেন। তা অপরাধ নয়। সরকারি আইনজীবী আদালতে আবেদনে জানান, রাজারাম রেগে সাংসদ ও তাঁর আপ্তসহায়কের মোবাইল নম্বর পেলেন কীভাবে? যে কোনও সাংসদের সঙ্গেই দেখা করার জন্য কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি মানতে হয়। সেখানে সরাসরি তিনি ফোন করে দেখা করতে চাইলেন কেন? তিনি নিজেকে ব্যবসায়ী বলে পরিচয় দিলেও কোনও ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। আগেও তাঁর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছিল।
পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, তিনি জেরায় দাবি করেন যে, মুম্বইয়ে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্সের বিশেষ প্রয়োজন হয় না। তাঁর মহারাষ্ট্রের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে। রাজারাম কোনও চাকরি বা ব্যবসা যদি না করেন, তবে কীভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা এল? পুলিশের দাবি, রাজারামের সঙ্গে তেলেঙ্গানার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তথা রাজনৈতিক নেতার ব্যাঙ্ক লেনদেনের হদিশ মিলেছে। সেই লেনদেনের ব্যাপারে আরও তথ্য পেতে তেলেঙ্গানায় তদন্তকারী টিম গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.