ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি গুজরাটে। অন্য রাজ্যের তুলনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে সুস্থতার হারও কম। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, এর কারণ হতে পারে প্রশাসনিক ব্যর্থতা এবং নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব। কিন্তু এখন যে তথ্য প্রকাশ্যে আসছে তা রীতিমতো উদ্বেগের। বিজ্ঞানীরা বলছেন গুজরাটে চরিত্র বদলেছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। এবং সে কারণেই আরও বেশি প্রাণঘাতী এবং মারাত্মক হয়ে উঠেছে এটি।
গবেষকরা মনে করছেন, ভারতের অন্য প্রান্তে যেমন করোনার এস-টাইপ (S-type strain) ভাইরাস হানা দিয়েছে গুজরাটে তেমন নয়। গুজরাটে এই ভাইরাসটি চরিত্র বদলে এল-টাইপ (L-type strain) ভাইরাসে পরিণত হয়েছে। যা কিনা এস-টাইপ ভাইরাসের থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক। চিনের ইউহানে এই এল-টাইপ করোনা ভাইরাসই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রাজ্যে যে ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে তার পেছনে এস-টাইপ ভাইরাসের বদলে রয়েছে এল-টাইপ করোনা ভাইরাস। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা এখনও বাকি।
গুজরাট সরকার পরিচালিত গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বলছেন, নোভেল করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সের সময় এল-টাইপ স্ট্রেইনের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন তারা। ওই গবেষণা সংস্থার ডিরেক্টর সি জি জোশী বলছেন, এল-টাইপ স্ট্রেইনের মারণ ক্ষমতা এস এস-টাইপ স্ট্রেইনের থেকে অনেকটাই বেশি। যেখানেই মৃত্যুর সংখ্যা বেশি সেখানেই এই ভাইরাসের স্ট্রেইন পাওয়া গিয়েছে। চিনের ইউহানেও এই ভাইরাসটিই পাওয়া গিয়েছে।
গুজরাটে ভাইরাসের এই চরিত্র বদল মারাত্মক হতে পারে। কারণ, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনার যে স্টেইন সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর। এর মারণ ক্ষমতাও অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। সেজন্যই এখনও দেশের মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা গিয়েছে। কিন্তু এবার করোনা যদি গুজরাটের মতো গোটা দেশে চরিত্র বদলায়, তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.