সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আয়করের পর সিবিআই। একের পর এক দুর্নীতি মামলায় চরম বিপাকে লালু প্রসাদ যাদব। বৃহস্পতিবার, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু ও তাঁর ছেলে তেজস্বী যাদবকে সমন পাঠাল সিবিআই। সূত্রের খবর, রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এক দুর্নীতির মামলায় এই সমন পাঠানো হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর লালুকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিক তার পরের দিনই লালুপুত্রকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
[নারদকাণ্ডে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের]
উল্লেখ্য, জুলাই মাসে লালু প্রসাদ যাদবের নামে একটি দুর্নীতির মামলা রুজু করে সিবিআই। লালু ছাড়াও অভিযোগপত্রে নাম ছিল তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী, পুত্র তেজস্বী যাদব, IRCTC-র (ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং এন্ড টুরিজম কর্পোরেশন) প্রাক্তন প্রধান পিকে গোয়েল ও সরলা গুপ্ত নামে লালুর এক আত্মীয়ের। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন লালু। ২০০৬ সালে ‘বিএনআর হোটেলস’ অধিগ্রহণ করে ভারতীয় রেল। তখন রেলমন্ত্রীর আসনে লালু। অধিগ্রহণের পর বিএনআর হোটেলসের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। অভিযোগ, সে বছরই প্রভাব খাটিয়ে সুজাতা হোটেল নামের একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দেন আরজেডি প্রধান।
[‘খারাপ সময়’ কাটাতে বাস্তু ও তন্ত্রের দ্বারস্থ লালুর ছেলে]
প্রসঙ্গত, জুন মাসে আয়বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় যাদব পরিবারের এক ডজন জমি এবং সম্পত্তি ‘অ্যাটাচ’ করে আয়কর বিভাগ। লালুর স্ত্রী রাবড়ি, ছেলে তথা বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী, মেয়ে মিসা, জামাই শৈলেশের সম্পত্তির পরিমাণ খতিয়ে দেখা হয়। ‘অ্যাটাচ’ হওয়া বেআইনি সম্পত্তির পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। ঠিক তার আগেই মে মাসে, লালুর বিপদ বাড়িয়ে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে লালুর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
[বান্ধবীকে ভয় দেখাতে হাতে ‘নীল তিমি’র জুজু ছাত্রের!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.