সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাভ জেহাদের পর এবার জমি জেহাদ। হিন্দুদের ভিটেমাটি কবজা করার ছক কষছে মুসলিম মৌলবাদীরা। এমন অভিযোগেই এবার তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের মীরাট শহর।
[‘লাভ জেহাদ’-এর বলি মালদার যুবক, জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ভিডিও ভাইরাল]
জানা গিয়েছে, হিন্দুপ্রধান এলাকায় একটি বাড়ি কেনায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে এক মুসলিম পরিবারকে। জমি জেহাদের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার, শহরের মালিওয়াড়া এলাকায় সদ্য কেনা বাড়িতে ঢুকতে গিয়ে প্রতিবেশীদের বাধার মুখে পড়েন উসমান ও তাঁর পরিবার। কয়েকদিন আগেই সঞ্জয় রস্তোগি নামের এক ব্যক্তির থেকে বাড়িটি কেনেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ওই মুসলিম যুবক। ঘটনার দিন নতুন বাড়িতে ঢুকতে গেলে তাঁকে বাধা দেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের দাবি, কোনও মুসলিম পরিবারকে ওই এলাকায় বাড়ি বিক্রি করা যাবে না। এছাড়াও বাড়ির প্রাক্তন মালিক তাঁদের থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছে ফলে বাড়িটি তাঁরা দখল করেছেন। ক্রমে ঘোরালো হয়ে উঠে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। দীপক শর্মা নামের সংগঠনটির প্রধানের অভিযোগ, মীরাট শহরে ক্রমেই হিন্দুদের বাড়ি হস্তগত করছে মুসলিমরা। এতে অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে পড়তে হতে পারে হিন্দুদের। কোনওমতেই এমনটা হতে দেওয়া যাবে না।
এই ঘটনায় হতবাক ওসমান ও তাঁর পরিবার। শহরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যপনা করেন ওসমানের বাবা। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কাছাকাছি একটি বাড়ি পেয়ে হাত ছাড়া করতে চাননি তিনি। ওই যুবক জানান, “বাড়ি কেনার সঙ্গে ধর্মের কী সম্পর্ক থাকতে পারে তা আমার মাথায় ঢুকছে না। নিজের বাড়িতে ঢুকতে গেলে আমাকে জেহাদি আখ্যা দেওয়া হয়। আমি ঝামেলায় যেতে চাই না। টাকা ফিরিয়ে দিলে ওই বাড়ি আমি ছেড়ে দেব।” এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এবিষয়ে কোতওয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার জানান, আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ওসমানের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিক্রেতা। ফলে দু’পক্ষের কেউই কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। উল্লেখ্য, ১৯৮০-র দাঙ্গার ঘটনাস্থল হাশিমপুরার কাছেই হিন্দুপ্রধান মালিওয়াড়া এলাকায়। সেখানকার বাসিন্দাদের জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় মুসলিম জনসংখ্যা বাড়িয়ে তোলার চক্রান্ত করছে মুসলিমরা। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে হিন্দু যুবতীদের ধর্মান্তরিত করতে লাভ জেহাদের ঘটনা সাড়া ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে জমি জেহাদের অভিযোগে রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
[জি ডি বিড়লা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতে নির্যাতিতার বাবা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.