সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও মেলেনি আর্থিক সহায়তা। ওড়িশা সরকারের বিরুদ্ধে তাই অভিনব প্রতিবাদ জানালেন সেখানকার এক আইনজীবী। ওড়িশা হাই কোর্টের বাইরে বসেই স্বপন পাল নামে ওই আইনজীবী বিক্রি করলেন সবজিপাতি। তাঁর দাবি, বার কাউন্সিল এবং রাজ্য সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও তাঁদের মতো আইনজীবীরা গত কয়েক মাস ধরে কোনও আর্থিক প্যাকেজ পাননি।
মারণ করোনা (Coronairus) বদলে দিয়েছে বহু মানুষের জীবন জীবীকা। চাকরি হারিয়ে অনেকের সংসারেই টান পড়েছে। কিন্তু আদালতে স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম না হলেও আইনজীবীদের যাতে কোনও আর্থিক সমস্যায় না পড়তে হয়, তার জন্য প্যাকেজের কথা ভাবা হয়েছিল। মহামারীর জেরে বর্তমানে ‘সবজি বিক্রেতা’য় পরিণত হওয়া আইনজীবী বলছেন, “লকডাউনের পর প্রায় তিন মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু আমরা কারও কাছ থেকে কোনওরকম আর্থিক সহযোগিতা পাইনি। তাহলে আমরা, আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাঁচব কীভাবে? কী করব, আপনারাই বলে দিন। স্ত্রী, সন্তানদের কি বিষ খাইয়ে মেরে ফেলব? আমাদের তো বাঁচতে হবে! টাকা-পয়সা ছাড়া খাবার কিনব কী করে? তাই আর উপায় না দেখেই রাস্তায় সবজি বিক্রি করতে বসেছি।”
তাঁর অভিযোগ, লকডাউনের সময় সকলকে আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বিপন্ন আইনজীবীদের জন্য সরকার কোনওরকম উদ্যোগ নেয়নি। এমনকী, ঘোষণা সত্ত্বেও কিছুই করেনি লয়্যারস অ্যাসোসিয়েশনও। প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল, বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ওড়িশা রাজ্য বার কাউন্সিল এমার্জেন্সি ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স রুলস ২০২০-তে অনুমোদন দেয়। আর তা অনুযায়ী করোনা মোকাবিলার জন্য লকডাউন চলাকালীন ঠিক করা হয়, যে সব আইনজীবীর আর্থিক অস্বচ্ছলতা রয়েছে, তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কাউন্সিলের তরফে তহবিল গঠনের জন্য বিভিন্ন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবীদের আবেদনপত্র পাঠাতে বলা হয়। ১০ মে’র মধ্যে আবেদন পাঠাতে বলা হয়েছিল। সূত্রের দাবি, অন্তত ১৫ হাজার আবেদনপত্র জমা হয়েছে। এই মূহূর্তে তার নিরীক্ষণ চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.