সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর-সহ সমগ্র ভারতে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিতে আরও বড় ছক কষছে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে এসেছে এমন কিছু তথ্য যাতে নড়েচড়ে বসেছেন শীর্ষ আধিকারিকরা। ধৃত এক লস্কর জঙ্গিকে জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, ইতিমধ্যেই জঙ্গি সংগঠনটি তৈরি করে ফেলেছে এক অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন। যা ট্র্যাক করা সম্ভবপর হবে না বিশ্বের কোনও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষে। ফলে কোন স্থান থেকে ফোন করা হচ্ছে, কী কথা বলা হচ্ছে কোনও তথ্যই জানতে পারবেন না গোয়েন্দারা। এই তথ্য রাতের ঘুম উড়িয়েছে নিরাপত্তা সংস্থার কর্তাদের।
[চলন্ত মেট্রোর নিচে চাপা পড়তে পড়তে প্রাণে বাঁচলেন যুবক, দেখুন ভিডিও]
মুলতান থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে ধরা পড়েছিল লস্কর জঙ্গি জইবুল্লাহ। আটক করার পর থেকেই তার মুখ খোলানোর চেষ্টা চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা। তার কাছ থেকে জানার চেষ্টা হচ্ছিল লস্করের বিভিন্ন পরিকল্পনা সম্পর্কে। প্রথমে মুখ খুলতে না চাইলেও জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সে। বাধ্য হয়ে ফাঁস করে লস্করের গোপন ছক। কোন ভয়ঙ্কর চক্রান্ত করছে লস্কর? জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতাদের হাতে এক অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছে লস্করের ছাত্র সংগঠন আল মুহাম্মাদিয়া স্টুডেন্টস। এই মোবাইলের বিশেষত্ব কী? তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা তাদের ব়্যাডার ব্যবহার করে কোনও মতেই ট্র্যাক করতে পারবে না এই মোবাইলকে। এমনকী বিশ্বের অন্য কোনও দেশ এই মোবাইলকে ট্র্যাক করতে গেলেও ফোনের কলটি ডাইভার্ট হয়ে যাবে অন্যদিকে। যদি ভেবে থাকেন মোবাইল আবিষ্কার করা পর্যন্তই থেমে গিয়েছে লস্করের কার্যকলাপ। তাহলে তা ভুল ভাবনা। প্রকাশ্যে এসেছে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গিয়েছে, এই মোবাইল ব্যবহার করে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪৫০ জন যুবককে বেছে নিয়েছে লস্কর। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১৫ থেকে ২৫-এর মধ্যে। ভারতীয় সেনার গুলিতে কাশ্মীরে নিহত হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির নামাঙ্কিত একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। সেই দলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই ৪৫০ জন যুবককে।
[ভাঁড়ে মা ভবানী! অর্থসংকটে পড়ে মোদিকে হারাতে সোশ্যাল মিডিয়াই ভরসা কংগ্রেসের]
গত মাসের শেষের দিকে জম্মু-কাশ্মীরের বারামুলা থেকে লস্করের একটি বড় দলকে আটক করেছিল পুলিশ। দলে ছিল চারজন লস্কর জঙ্গি ও কাশ্মীরে লস্করের হয়ে কাজ করা ছ’জন যুবক। তাদের কাছ থেকেও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, তাদেরকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লস্করের পক্ষ থেকে। তাদের বলা হয়েছিল, উপত্যকার মানুষের মধ্যে লস্করের প্রতি ভীতি ঢুকিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে, চালাতে হবে একাধিক হামলা। খুন করতে হবে সেই সমস্ত ব্যক্তিকে যারা পুলিশ ও সেনার সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে চলেন। তবে কাশ্মীর পুলিশের তৎপরতায় বানচাল হয়েছে জঙ্গিদের সেই পরিকল্পনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.