সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitaraman) বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন, রাজকোষের ঘাটতি মেটাতে এলআইসির অংশীদারিত্ব আংশিকভাবে বিক্রি করতে চায় সরকার। নির্মলার ঘোষণার পর রীতিমতো আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এলআইসির কোটি কোটি আমানতকারী। অনিশ্চয়তার দোলাচলে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের হাজার হাজার এজেন্টও। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এলআইসির কর্তৃত্ব যদি বেসরকারি হাতে বা শেয়ার হোল্ডারদের হাতে চলে যায়, তাহলে সংস্থার সুনাম এবং পারফরম্যান্স দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কিন্তু, এই আশঙ্কা কি আদৌ যুক্তিযুক্তি? সরকার কি আদৌ এলআইসির কর্তৃত্ব নিজেদের হাত থেকে বের করে দিতে চাইছে? উত্তর ‘না’।
এলআইসি একেবারেই বেসরকারি হাতে যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের মাত্র ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে পারে কেন্দ্র। এই দশ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করলেই সরকারের লক্ষ্যমাত্রার থেকে অনেক বেশি টাকা রাজকোষে চলে আসবে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র বলছে, সরকার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ২.১ লক্ষ কোটি টাকা রাজকোষে ঢোকাতে চায়। আর সেই লক্ষ্যপূরণে এলআইসি ছাড়াও বেশ কয়েকটি সংস্থার সাহায্য নিতে পারে কেন্দ্র।
বাজারের হিসেব বলছে, শুধু এলআইসিরই বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩৬ লক্ষ কোটি টাকা। এই সংস্থাটির ১০০ শতাংশ শেয়ারই এখন কেন্দ্রের দখলে। ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়লে প্রায় ৩.৬ লক্ষ কোটি টাকা সরকারের হাতে আসবে। যা নির্ধারিত ২.১ লক্ষ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই বেশি। এছাড়াও, আইডিবিআই ব্যাংকের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ার এখন কেন্দ্রের দখলে। সেই শেয়ার সরকার পুরোপুরি বিক্রি করে দিতে চায়। সেই টাকাও রাজকোষের ঘাটতি পূরণের কাজে লাগতে পারে। সেই হিসেব করতে গেলে, এলআইসির পাঁচ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়লেই কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্র পূরণ হয়। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী কোনও সরকারি সংস্থায় বিনিয়োগ আহ্বান করতে হলে, অন্তত ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়তে হয়। সেক্ষেত্রে ধাপে ধাপে এলআইসির দশ শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য নথিভুক্ত করা হতে পারে। অর্থাৎ, সংস্থার ৯০ শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছেই রাখবে কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই সংস্থার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি কেন্দ্রের হাতেই থাকবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.