ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশের পর এবার কি মহারাষ্ট্র! সেখানেও কি সরকার গড়ার পরিকল্পনা করছে বিজেপি? মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন এনডিএর জোট শরিক রিপাবলিকান পার্টি অফ ইন্ডিয়ার প্রধান ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামদাস আতাওয়ালে।
দিনভর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে নিয়ে সরগরম ছিল দেশের রাজনীতি। মঙ্গলবার সকালে সোনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দেওয়া। তারপর তা টুইট করা। মধ্যপ্রদেশের সরকার নিয়ে টানাপোড়েনের জমি প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্যে কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দেন জোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী হিসেবে পরিচিত আরও ২২ জন বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে কমলনাথ মন্ত্রিসভার ৬ জন সদস্যও ছিলেন। এই ঘটনার পরেই রাজ্যপালের কাছে তাঁদের মন্ত্রিপদ খারিজের আবেদন জানান মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। তাঁর সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতও বলে জানান। এরপরই মধ্যপ্রদেশের মতো ঘটনা মহারাষ্ট্রেও ঘটতে চলেছে বলে মন্তব্য করেন রামদাস আতাওয়ালে।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শিব সেনার অনেক বিধায়ক মহারাষ্ট্রের মহা বিকাশ আগাড়ি জোট সরকারের কাজে খুশি নন। এর ফলে মহারাষ্ট্রে রাজনৈতিক ভূমিকম্পও হতে পারে। যদিও এবিষয়ে আমার সঙ্গে তাঁদের কোনও কথা হয়নি। তবে আমার মনে হয় খুব তাড়াতাড়ি উদ্ধব ঠাকরে এবিষয়ে নিজের মনোভাব পরিবর্তন করবেন। তারপরই কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে জোট ভেঙে যাবে শিব সেনার। ক্ষমতা হারাবে উদ্ধব ঠাকরের সরকারও।’
মঙ্গলবার সকালে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে ইস্তফার চিঠি টুইটারে পোস্ট করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তার কয়েক মিনিটের মধ্যে কংগ্রেস থেকে তাঁকে ‘বহিষ্কার’ করা হয়। এপ্রসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’ এদিকে মঙ্গলবার সন্ধেয় জ্যোতিরাদিত্যের বিজেপিতে যোগদানের কথা থাকলেও জানা যায়, আগামিকাল তা সত্যি হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.