সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের নিয়ে রাজনীতি নয়। দিল্লিতে বৈঠকের পর নাম না করে এভাবেই চিনকে কড়া বার্তা দিল কোয়াড গোষ্ঠী। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসংঘে বারবার জেহাদিদের নিষিদ্ধ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে আসছে বেজিং।
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত মিলে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’ বা কোয়াড (QUAD) জোট। বিশ্লেষকদের মতে, মূলত চিনকে নজরে রেখেই একজোট হয়েছে চারটি দেশ। শুক্রবার দিল্লিতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে আলোচনায় বসেন কোয়াডের বিদেশমন্ত্রীরা। ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের তত্ত্বাবধানে ওই বৈঠকে অংশ নেন জাপানের বিদেশমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী পেনি ওং এবং মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেখানেই চিনকে তোপ দাগা হয়।
গত জানুয়ারি মাসে লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক আবদুল রহমান মক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। প্রায় বছর তিনেক আগেই মক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণার প্রস্তাব করে ভারত, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ। কিন্তু চিনের আপত্তিতে সেই প্রস্তাব আটকে ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের সুরক্ষা দিয়ে ভারতকে চাপে রাখতে চায় চিন (China)।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ভারতের সামরিক প্রস্তুতির সিংহভাগ এখন চিনকেন্দ্রিক। তালিবান প্রত্যাবর্তনের পর কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে ভারত অবশ্যই চিন্তিত। কিন্তু তার চেয়েও বেশি চিন্তা ‘এলএসি’ বরাবর চিনা উপস্থিতি। রাফালের ঘাঁটি তাই হরিয়ানার আম্বালা ও পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা, হাসিমারা। অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে মোতায়েন হয়েছে আমেরিকার চৈনিক যুদ্ধ-হেলিকপ্টার, অত্যাধুনিক হাউইৎজার, এল-৭০ এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা ও সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। পাহাড়ি যুদ্ধে পারদর্শী নতুন ‘মাউন্টেন স্ট্রাইক ফোর্স’ (৯০ হাজার জওয়ান)-এর সদর হয়েছে পানাগড়। ‘এলএসি’ বরাবর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় গড়া হচ্ছে রাস্তা, সেতু, হাসপাতাল, এয়ার স্ট্রিপ-সহ সামরিক পরিকাঠামো। চিনা তৎপরতার জবাবে ‘অগ্নি ৫’-এর সফল উৎক্ষেপণ জানান দিয়েছে, গোটা চিন এখন পরমাণু-শক্তিধর ‘অগ্নি ৫’-এর আওতায়। এহেন সময়ে কোয়াড গোষ্ঠীর বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.