সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল ভাঙিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। মহারাষ্ট্রে খুব একটা সুবিধাজনক জায়গায় নেই এনডিএ। মারাঠাভূমে ভোট (Lok Sabha 2024) প্রক্রিয়া চলাকালীনই স্বীকার করে নিলেন অজিত পওয়ার শিবিরের এনসিপি নেতা ছগন বুজবল। প্রবীণ ওই নেতা মেনে নিচ্ছেন, মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পওয়ারের পক্ষে একটা সহানুভূতির হাওয়া তৈরি হয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছগন বুজবল বলেছেন, “২০১৪ এবং ২০১৯-এর মতো এবার আর এনডিএর লড়াইটা অত সহজ নয়। শিব সেনা এবং এনসিপিতে ভাঙনের পর শরদ পওয়ার এবং উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) দিকে একটা সহানুভূতির হাওয়া তৈরি হয়েছে। সেটা তাঁদের মিটিং-মিছিলে দেখাও যাচ্ছে। ২০১৪ আর ২০১৯-এর মতো ভেঙে যায়নি বিরোধী শিবির।” যদিও পরক্ষণেই ছগন বুজবলের দাবি, “মানুষের ভরসা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির উপর। মানুষ শক্তিশালী সরকার গড়বে।”
বস্তুত মারাঠাভূমের রাজনীতি এবার বেশ জটিল। আগে যেখানে মূলত চারটি দল দুই শিবিরে লড়ত, এবার সেখানে বড় দল ছটি। মূল প্রতিপক্ষ অবশ্য দুটিই। একদিকে বিজেপি, শিব সেনা (শিণ্ডে শিবির) এবং এনসিপি (অজিত শিবির), অন্যদিকে কংগ্রেস, এনসিপির শরদ পওয়ার শিবির এবং শিব সেনার উদ্ধব শিবির। অধিকাংশ আসনেই এবার লড়াই সমানে সমানে।
আসলে ২০১৯-এর পর শিব সেনা শিবির বদলে কংগ্রেসের হাত ধরতেই মহারাষ্ট্রে চাপে পড়ে যায় বিজেপি। পালটা পদক্ষেপে শিব সেনার শিণ্ডেকে ভাঙিয়ে নিজেদের শিবিরে ভেড়ান মোদি-শাহরা। একই পরিস্থিতি হয় এনসিপির সঙ্গেও। এনসিপির অজিত পওয়ারকেও ভাঙায় বিজেপি। কংগ্রেসেরও একাধিক নেতাকে ভাঙিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু দলে ভাঙনের পর উদ্ধব, শরদের (Sharad Pawar) মতো প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে একটা সহানুভূতি কাজ করছে। সেটা আঁচ করেই সম্ভবত প্রবীণ নেতা ছগন বুজবল (Chhagan Bhujbal) আগেভাগে ‘হার’ মেনে নিলেন। তিনি নিজেও ভোটে লড়ছেন না। অজিত পওয়ার তাঁকে নাসিক থেকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.