সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব বদলি সেরে ফেলার জন্য সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিব ও পুলিশ প্রধানদের চিঠি পাঠিয়ে নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়েই আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি যে শুরু হয়ে গিয়েছে সেই বার্তা দিল কমিশন। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শিবরাত্রির পরের দিন অর্থাৎ ৫ মার্চ লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা করতে পারে কমিশন। ২০১৪ সালের ভোটের সময়েও মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন নির্দেশিকায় আরও জানিয়েছে, ভোটের সময়ে কোনও অফিসারকে তাঁর নিজের জেলায় পাঠানো যাবে না। এছাড়া কোন অফিসার কোনও জেলায় চার বছর অথবা ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত তিন বছর দায়িত্বে থাকলে তাঁকেও ওই জেলার নির্বাচনের কাজে লাগানো যাবে না। এঁদেরই বদলি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করে দেওয়ার বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে মহারাষ্ট্রে এদিন শিব সেনার সঙ্গে বৈঠকে বসে বিজেপি। বৈঠকে জোটের ক্ষমতা নিয়ে কার্যত উদ্ধব ঠাকরের কাছে ঝুঁকতে হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশদের। সূত্রের খবর, ২৬-এর বদলে নিজেদের দু’টি আসন শিবসেনাকে ছেড়ে দিয়ে ২৪-২৪ আসন ফরমুলায় রাজি হয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপিকে ঠেকাতে বিজেপি-শিব সেনা ২৪ টি করে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নিতে চলছে বলে সূত্রের খবর। যদিও, দুই শিবিরই এই খবর নাকচ করে দিয়েছে।
এর আগে একাধিকবার মহারাষ্ট্রে বিজেপির জোটসঙ্গী ছেড়ে বেরিয়ে আসার হুমকি দিত শিব সেনা। নানা শর্তও চাপিয়ে চাপে রাখছিল বিজেপিকে। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ন’দফায় দেশব্যাপী ভোটগ্রহণ হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে পাঁচ দফায় ভোট নেয় কমিশন। এবারও দেশে শান্তিপূর্ণ ভোট প্রক্রিয়া জারি রাখতে একইভাবে ৯-১০ দফায় ভোট হতে পারে বলে খবর। বাংলায় ক’দফায় ভোট হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এবারও এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা ভোটগ্রহণ হতে পারে। নির্বাচন কমিশন তেমনই প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিন কেন্দ্রীয় কমিশনের চিঠি আসার পর রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার ডিএম ও এডিএমদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.