সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী চুইংগাম খেতে রাজি না হওয়ায় তালাক দিল এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউয়ের ওয়াজিরগঞ্জ থানার অন্তর্গত ইন্দিরা নগরে। পারিবারিক নির্যাতনের মামলায় হাজিরা দিতে এসে মামলাকারী স্ত্রীকে চুইংগাম খেতে দিয়েছিল। কিন্তু, তা নিতে চাননি ওই যুবতী। এর জেরে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই তাঁকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পাশাপাশি তালাক দিল স্বামী। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তারপরেও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ যুবতীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৪ সালে ইন্দিরা নগরের বাসিন্দা সৈয়দ রশিদের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ৩০ বছরের যুবতী সিম্মির। বিয়ের পর থেকে পণের জন্য ওই যুবতী এবং তাঁর পরিবারকে রশিদ ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা হেনস্তা করত বলে অভিযোগ। অনেকবার সিম্মিকে মারধরও করেছে তারা। অনেকদিন ধরে চুপচাপ সবকিছু সহ্য করা পর সম্প্রতি লখনউয়ের একটি দেওয়ানি আদালতের দ্বারস্থ হন সিম্মি। পণের জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে অত্যাচার করছে এই অভিযোগে একটি মামলাও দায়ের করেন। সেই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেয় রশিদ।
এপ্রসঙ্গে ওই যুবতী সিম্মি বলেন, ‘পারিবারিক নির্যাতনের মামলার শুনানি ছিল সোমবার। তাতে হাজিরা দিতে আদালতে এসেছিল আমার স্বামী। বিচারকের এজলাসের বাইরে আমি যখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলাম তখন আমাকে একটি চুইংগাম খেতে দেয়। কিন্তু, ওই চুইংগাম খেতে রাজি হইনি আমি। কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর আচমকা বিষয়টি নিয়ে ঝগড়া করতে শুরু করে রশিদ। শারীরিকভাবে হেনস্তা করার পর আমাকে তালাক দিয়ে আদালত থেকে চলে যায়। এই ঘটনার পরেই আইনজীবীর পরামর্শে স্থানীয় ওয়াজিরগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে গিয়ে রশিদের নামে এফআইআর দায়ের করি আমি। কিন্তু, তারপরও পুলিশ আমার স্বামীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’
স্থানীয় পুলিশ সুপার বিকাশ চন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, ‘ওই দম্পতির মধ্যে চলা একটি মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার মাঝেই স্বামীর বিরুদ্ধে তালাক দেওয়ার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছেন ওই যুবতী। তাই সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.