সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু ভৌগলিক সীমানা নয়। বহুকাল ধরেই ভারতবর্ষকে জীবিত সত্ত্বা বলেই মনে করা হয়। মাতৃ রূপে দেশকে পুজো করার চলও বহুদিনের। সেই ভাবনাকেই আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে এবার ‘ভারত মাতা’র মন্দির তৈরি হতে চলেছে মধ্যপ্রদেশে।
বুধবার, রাজধানী ভোপালের কাছে ‘ভারত মাতা’ মন্দির তৈরি করার প্রস্তাবে সিলমোহর দেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। এদিন মন্দির ইস্যুতে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সেখানেই ওই মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ‘ভারত মাতা’ মন্দির নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করে ভোপাল পুরসভা (বিএমসি)। এর জন্য এয়ারপোর্ট রোডের কাছে সিঙ্গারচোলি এলাকায় জমি চায় বিএমসি। এদিন সেই প্রস্তাব অনুমোদন করে বিজেই শাসিত রাজ্যটি। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র নরোত্তম মিশ্র জানিয়েছেন, ভারত মাতার মন্দির গড়তে রাজ্য সরকার ৫ হেক্টর জমি বরাদ্দ করছে। জমিটি পুরসভাকে দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে মাসখানেক আগেই ১৬ ফুট লম্বা একটি ভারত মাতার মূর্তির উন্মোচন করেছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানে তিনি বলেছিলেন, এভাবেই মাতৃভূমির বন্দনা করা উচিত। সকলকেই গোটা সমাজকে নিজেদের বলে ভাবতে হবে। মতপার্থক্য ঘুচিয়ে ‘আমাদের বনাম ওদের’ ভাবনা মাথা থেকে বের করে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরই বিধানসভা নির্বাচন মধ্যপ্রদেশে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিই বিজেপির অগ্নিপরীক্ষা বলে মনে করা হচ্ছে। তাই পূর্ণশক্তিতে আসরে নেমেছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, দেশাত্মবোধ নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। ‘ভারত মাতা’ মন্দির বানিয়ে উন্নয়ন ও অপরাধের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে মানুষের নজর ঘুরিয়ে দিতে চলেছে পদ্ম শিবির। তবে শাসকদলের বিরুদ্ধে ধর্মের রাজনীতির অভিযোগ উঠলেও পিছিয়ে নেই প্রধান বিরোধী দোল কংগ্রেসও। হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক কবজা করতে এবার ওই রাজ্যের মন্দিরে মন্দিরে যাবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ফলে ভোটমুখী রাজ্যটিতে মন্দির রাজনীতি বেশ জমে উঠেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[দক্ষিণ-পূর্ব রেলের দুর্নীতি দমনের দায়িত্ব এবার এক বাঙালিনির কাঁধে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.