সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে গিয়ে বিপাকে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ছাত্রী। তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের (Rape)অভিযোগে গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষক। শনিবার ওই ছাত্রীর পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে বরেলির শিসগড়ের পুলিশ। এ নিয়ে বেশ শোরগোল এলাকায়।
চার বছর আগে বরেলি (Bareily) জেলার শিসগড়ের মাদ্রাসায় পড়তে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সেখানেই তাঁর সঙ্গে প্রথমে আলাপ হয় যুবকের। প্রথমে দু’জনে একসঙ্গেই পড়াশোনা করতেন। ধীরে ধীরে একে অপরের প্রেমে পড়ে। তারপর মাদ্রাসায় (Madrasa)পড়ানোর দায়িত্ব পায় ওই যুবক। অভিযোগ, তারপর থেকেই ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করত শিক্ষক। একসময়ে ছাত্রী গর্ভবতী হয়ে পড়েন। সেসময় গর্ভপাতের জন্য চাপ তৈরি হয় তাঁর উপর। প্রেমিক তথা শিক্ষকের এই আচরণ আর মেনে নিতে পারেননি ছাত্রী।
লাগাতার ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার পর পরিবারের সবাইকে বিষয়টি জানান ছাত্রী। তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছে স্থানীয় পুলিশ সুপার রোহিত সিং সাজওয়ান। তিনি জানিয়েছেন, ওই শিক্ষকের সঙ্গে নিজের প্রেমের সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন ছাত্রীটি। কিন্তু তাঁর প্রেমের সুযোগে যেভাবে ইচ্ছে বিরুদ্ধে বারবার যৌনসম্পর্ক তৈরি করে চাপ দেওয়া হয়েছে, তাতেই প্রেমিকের প্রতি বিশ্বাসভঙ্গ হয়েছে তরুণীর।
অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে ছাত্রী আরও জানায় যে, গর্ভবতী হওয়ার পর যেদিন প্রেমিকের বাড়ি তিনি যান, সেদিন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসবের চাপ সহ্য করতে না পেরেই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। শিক্ষকের গ্রেপ্তারির ঘটনায় কিছুটা আশ্বস্ত ওই ছাত্রী। তাঁর পরিবারের তরফে অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.