প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছর ধরে মাদ্রাসার ভিতরে নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার কুকীর্তির কথা বাড়িতে জানালে ছাত্রীটিকে প্রাণে মারারও হুমকি দেয় সে। শেষপর্যন্ত পরিবারের সহায়তার পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে ওই ছাত্রী। গুজরাটের (Gujrat) কচ্ছ জেলার ঘটনা।
জানা গিয়েছে, চোদ্দ-পনেরো বছয় বয়স থেকে মেয়েটি আরবী ও উর্দু শিখতে ওই মাদ্রাসায় (Madrasa) যেত। সেখানেই দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার (Raped) হত ওই নাবালিকা। নির্যাতিতার পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, একদিন ক্লাস শেষ হওয়ার পর ওই শিক্ষক তাঁর জামা কাপড় ধুয়ে দিতে বলে ওই ছাত্রীকে। সেই পোশাক দিয়ে তাঁকে শৌচাগারে পাঠিয়ে দেয়। ক্লাস শেষ করার পর সব ছাত্রছাত্রী চলে গেলেও বাড়ি ফিরতে পারেনি ওই পড়ুয়া। আচমকাই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই শিক্ষক। ধর্ষণ করে তাকে। এরপর কখনও খুনের হুমকি দিয়ে আবার কখনও ধর্ষণের ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে টানা চার বছর ধরে নির্যাতন চালাত ওই শিক্ষক।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে নির্যাতিতার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তঁর স্বামীর সহায়তায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁর শারীরিক পরীক্ষায় যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মাদ্রাসার অভিযুক্ত শিক্ষক সামসুদ্দিন হাজি সুলেমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জুন মাসেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল গুজরাটে। স্কলারশিপের ফর্ম পূরণ করতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ছাত্রীকে বের করে এলেছিল আরেক মাদ্রাসার শিক্ষক। তারপর তাকে ধর্ষণ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.