ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার মাদ্রাসাগুলিকে ব্যবহার করে জেহাদের জাল ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের জেএমবি জঙ্গিরা। বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এল কেন্দ্রের রিপোর্টে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জি কিষণ রেড্ডি সংসদে এ বিষয়ে নথিও প্রকাশ করেছেন। গোয়েন্দা সূত্রে আগে থেকেই খবর ছিল, মুর্শিদাবাদ বর্ধমান ও মালদহের মাদ্রাসাগুলিক জঙ্গি নিয়োগের কাজে ব্যবহার করেছে বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ। এই মাদ্রাসাগুলিতে সংখ্যালঘু যুবকদের মগজধোলাই করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক জঙ্গি শিবির চালাচ্ছে জেএমবি। সেই শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত করেন লস্কর-ই-তইবার কুখ্যাত জঙ্গিরা। শুধু আত্মগোপনের জন্যই নয়, এই এলাকা থেকে সংগঠনে লোকও নিয়োগ করছে তারা। যা হচ্ছে মাদ্রাসা ও মসজিদগুলি থেকে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার মাদ্রাসাগুলিকে মূলত নিশানা করেছে জঙ্গিরা। এছাড়া অসমের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলিতেও চলছে একই কায়দায় নিয়োগ।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, গেয়েন্দা দপ্তরের গোপন তথ্য পাওয়ার পর রাজ্য সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকী, কেন্দ্রীয় বাহিনীগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় যাবতীয় তথ্য বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য সরকারকে দেওয়া হচ্ছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকেও জানানো হয়েছে। সরকারের পর্যবেক্ষণ, জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, জামাত উল মুজাহিদিন ইন্ডিয়া এবং জামাত উল মুজাহিদিন হিন্দুস্তান নামের তিনটি সংগঠন এই কার্যকলাপ চালাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনে বাংলায় একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এরা প্রত্যেকেই কোনও না কোনওভাবে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত। যার সর্ববৃহৎ উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে গত সপ্তাহ। খাস শহর কলকাতার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন থেকে পৃথকভাবে এসটিএফ-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে চার জঙ্গি। ধৃতদের কাছ থেকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.