সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ৩৪ হাজার কোটি টাকার কৃষিঋণ দেবে মহারাষ্ট্র সরকার। তার জন্য দিতে হবে মোটা অঙ্কের ভরতুকি। সেই ভরতুকি মেটাতে এবার আসরে নামলেন রাজ্যের সব মন্ত্রী ও বিধায়করা। নিজেদের একমাসের বেতন তাঁরা তুলে দেবেন ফড়নবিস সরকারের তহবিলে। দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ পুরোপুরি মকুব করা হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। ফলে একটা বড় অঙ্কের বোঝা চেপেছে তাদের ওপর। সেই ঠ্যালা সামলাতে নাজেহাল দশা রাজ্যের। উপায় বের করতেই এই পথ বাতলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
[আপনার কাছেও কি আধার নম্বর চেয়ে ফোন, মেসেজ এসেছে? সতর্ক হোন এখনই]
সাংবাদিক সম্মেলনে দেবেন্দ্র ফড়নবিস জানান সর্বসম্মতিক্রমেই বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্য ও বিধায়করা। এতে রাজ্যের ওপর বোঝা অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও জানান যেসব কৃষক নিয়মিতভাবে তাদের ঋণ শোধ করেছেন, ২৫ শতাংশ হারে তাদের সামনে ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়ার সুযোগও থাকবে। এই বিষয়ে বিভিন্ন অংশীদারদের সাথে আলোচনা করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান ফড়নবিস। রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপে রাজ্যের নব্বই শতাংশ কৃষক লাভবান হবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, যেসব কৃষকের আয় বার্ষিক দশ লাখ বা তার বেশি, তাদের ক্ষেত্রে এই ঋণ মকুব করা হবে না। এই প্রকল্পের আওতাতেও তারা পড়বেন না বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।
[জানেন, সপ্তাহে কতবার খান এই দম্পতি?]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই ইস্যুতে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডুর মন্তব্য নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজ্যগুলির কৃষিঋণ মকুবের ধুম দেখে তাঁর মন্তব্য ছিল, এই ইস্যু এখন ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজ্য সরকারগুলির উচিত স্রোতে না ভেসে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া। নিজেদের কোষাগারের কথাও মাথায় রাখা উচিত বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি। সেই মন্তব্যের পর স্বভাবতই সমালোচনায় সরব হয় বিরোধীরা। পাঞ্জাব ও কর্নাটকে কংগ্রেসশাসিত সরকারের কৃষিঋণ মকুব করার পরেই বেঙ্কাইয়ার এই তোপ ছিল। এরপরেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই হয়ত মন্ত্রী ও বিধায়কদের এই বেতন দানের সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.