ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক তছরুপের মামলায় গ্রেপ্তার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের (Anil Deshmukh) আপ্তসহায়ক-সহ ২। শুক্রবার রাতে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেপ্তার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সূত্রের খবর, শনিবার দেশমুখকে ডেকে পাঠিয়েছিল সংস্থাটি। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে যান তিনি। শুক্রবার নাগপুরে দেশমুখের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীর।তোলাবাজির মামলায তাঁকে গ্রেপ্তার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণও নাকি পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
এদিন মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) দপ্তরে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় দেশমুখের আপ্তসহায়ক সঞ্জীব পালান্দে ও সহায়ক কুন্দন শিন্ডেকে। আর্থিক তছরূপের মামলায় তাঁদের বেশ কিছু প্রশ্ন করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তকারীদের দাবি, প্রশ্নের সদুত্তর দেননি কেউই। বারবার জিজ্ঞেস করা হলেও প্রশ্ন এড়িয়ে যান তাঁরা। ফলে তদন্তে অসহযোগীতার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিপদ আরও বেড়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রসঙ্গত, প্রায় ১০০ কোটি টাকার তোলাবাজি মামলায় অভিযুক্ত দেশমুখ। চাপের মুখে গত এপ্রিল মাসে পদত্যাগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মুকেশ আম্বানির বাড়ির কাছে বিস্ফোরক ভরতি গাড়ি উদ্ধারের ঘটনার তদন্ত করছিলেন মুম্বইয়ের তৎকালীন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং (Param Bir Singh)। কিন্তু নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে পরমবীরকে সরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ। তাঁকে বদলি করা হয় হোমগার্ডে। এর কয়েকদিনের মধ্যেই চিঠি লিখে অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন পরমবীর। জানান, ধৃত শচীন ওয়াজেকে ব্যবহার করে মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলাবাজির ব্যবস্থা করেছিলেন দেশমুখ। হোটেল-রেস্তরাঁ-ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে মাসে ৪০ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল। বাকি ৬০ কোটি অন্য উপায়ে জোগাড় হত বলে জানান পরমবীর। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thakray) এবং শরদ পওয়ারকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টি জানিয়েও কোনও সুফল তিনি পাননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.