প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে স্বামীকে খুন (Murder) করিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেও শেষরক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত জেরায় ভেঙে পড়ে অপরাধ কবুল করে গ্রেপ্তার হলেন স্ত্রী। জানিয়ে দিলেন, স্বামীর অত্যাচারে কাহিল হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। এমনই এক নৃশংস ঘটনার সাক্ষী মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) আকোলা। সেই জেলার পুন্ডা গ্রামেই ঘটেছে এমন হত্যাকাণ্ড। স্বাভাবিক ভাবেই সৃষ্টি হয়েছে চাঞ্চল্য।
ঠিক কী হয়েছিল? গত বুধবার ৩২ বছরের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। লোহার বিমের সঙ্গে দড়িতে ফাঁস লাগানো তাঁর দেহটি ঝুলছিল। কিন্তু তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় প্রথম থেকেই সন্দেহ ঘনীভূত হতে থাকে। পরে যত সময় যায় সন্দেহ আরও গাঢ় হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির ২৮ বছরের স্ত্রী জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে অপরাধ কবুল করেন। জানিয়ে দেন, আত্মহত্যা নয়, মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁর স্বামীকে। আর এই অপরাধের ‘মাস্টার মাইন্ড’ তিনিই।
কিন্তু কেন স্বামীকে মারার চক্রান্ত করলেন তিনি? পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী ছিলেন মদ্যপ। নিয়মিত মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে মারধর করতেন। এই অত্যাচারে কার্যতই অতিষ্ঠ হয়ে তিনি স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন। এবং সেইমতো গ্রামেরই একজনের সঙ্গে চুক্তি হয় তাঁর। ওই ব্যক্তিকে নগদ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে খুনের সুপারি দেন অভিযুক্ত গৃহবধূ। এরপরই দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয় মহিলার স্বামীকে। তারপর ঝুলিয়ে দেওয়া লোহার বিম থেকে।
দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কিনা তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.