ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মাছের বাজার বন্ধ করে দিচ্ছে বিজেপির ‘গুন্ডারা’। তাহলে আমরা কি শুধু ধোকলা খাব?’ এক্স হ্যান্ডেলে বিস্ফোরক পোস্ট করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নয়াদিল্লিতে জোর করে মাছের বাজার বন্ধ করে দিচ্ছে বিজেপির ‘গুন্ডারা’, এমন একটি ভিডিও শেয়ারও করেছেন করেছেন সোশাল মিডিয়ায়।
মঙ্গলবারই এক্স হ্যান্ডেলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন কয়েকজন। কারণ ওই বাজারের খুব কাছেই রয়েছে একটি মন্দির। ভিডিও শেয়ার করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে বাঙালি অধ্যুষিত চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকায় হুমকি দিচ্ছে বিজেপির গুন্ডারা। গত ৬০ বছরে এমন দৃশ্য দেখেননি এলাকার বাঙালিরা।’ এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন মহুয়া। সেখানেও লেখা ছিল, চিত্তরঞ্জন পার্ক সংলগ্ন এলাকায় গত ১০ দিন ধরে মাছ-মাংসের দোকান বন্ধ রয়েছে।
বুধবারও এই ইস্যুতে সুর চড়ান তৃণমূল সাংসদ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি আবারও বলেন, ‘যে ব্যবসায়ীরা মন্দির তৈরি করেছে, তাঁদেরই দোকান বন্ধ করতে ভয় দেখাচ্ছে বিজেপির গুন্ডারা। তার ভিডিও ছড়িয়েও পড়েছ নেটদুনিয়ায়। কিন্তু এখনও কেউ গ্রেপ্তার হল না কেন? দিল্লি পুলিশ কই? নাকি আমাদের এখন জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে ধোকলা খেতে হবে শুধু?’
Terrorising Hindu fishmongers into shutting legal shops next to a temple they built – BJP goons caught on video but not yet arrested. Hello @DelhiPolice – Or are we all supposed to eat dhoklas and chant Jai Shri Ram? pic.twitter.com/XKcRUEknFo
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) April 9, 2025
যদিও মহুয়ার শেয়ার করা ভিডিওটি ভুয়ো বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘অশান্তি ছড়ানোর জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা হয়েছে ভিডিওটি। আসলে তৃণমূল সাংসদদের নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেখান থেকে নজর ঘোরাতে এখন ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে।’ নিজের বক্তব্যের সপক্ষে একটি সংবাদমাধ্যমে খবরও তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা। তবে মহুয়ার কথায়, যদি ভিডিওটি ভুয়ো হত তাহলে দিল্লি পুলিশ কোটি কোটি মামলা দায়ের করে ফেলত তাঁর বিরুদ্ধে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.