ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত জেলবন্দির রহস্যমৃত্যু। রবিবার সকালে মহারাষ্ট্রের তলোজা জেলের শৌচালয়ে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল অভিযুক্ত বিশাল গাওলির। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন অভিযুক্ত বিশাল।
তলোজা জেলের প্রধান প্রমোদ ওয়াঘ রবিবার সাংবাদিকদের জানান, শনিবার রাতের খাওয়া শেষ করার পর অন্যান্য দিনের মতো ঘুমোতে গিয়েছিলেন বিশাল। রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ তাঁকে শেষবার শৌচালয়ে যেতে দেখেছিলেন এক বন্দি। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ জেলের শৌচালয়ে বিশালের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান অন্য এক বন্দি। সঙ্গে সঙ্গে জেল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন তিনি। তাঁর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ১২ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ উঠেছিল বিশালের বিরুদ্ধে। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, মহারাষ্ট্রের কল্যাণ জেলা থেকে ওই নাবালিকাকে অপহরণ করে অভিযুক্ত। এরপর ধর্ষণ ও খুন করে তার দেহ ফেলে যায় ভিওয়ান্ডির বাপাগভ এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বিশালকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির গ্রাম শেগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করে। তদন্তে জানা যায়, এর আগেও বহু অল্পবয়সি ছেলে ও মেয়ের উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে বিশাল। জানা যায়, ২০১৫ সালে প্রাণঘাতী হামলা, ২০১৫ সালে এক নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ, ২০২১ সালে এক নাবালককে ধর্ষণ, ২০২২ সালে ডাকাতি, ২০২৩ সালে আরও এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মতো বহু মামলা দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর ২০২৪ সালে কল্যাণে নাবালিকাকে এই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
একের পর এক অপরাধের ঘটনায় বিশালের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে সরব হন নাবালিকার পরিবার। এমনকী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দেন তাঁর স্ত্রীও। পুলিশের অনুমান, স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষী দেওয়ায় মানসিকভাব ভেঙে পড়েছিলেন বিশাল। যার জেরেই আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তিনি। যদিও গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.