ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবিধানের ধারা রয়েছে কেবল খাতায়-কলমেই! কার্যত গুজরাটের করাঞ্জ অঞ্চলের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় সুবিচার দিতে পারল না প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট! ১৫ বছরের ওই নাবালিকা এবং তাঁর পরিবারকে আদালতের দরজা থেকে ফিরতে হল শূন্য হাতেই!
জানা গিয়েছে, ধর্ষকের নাম মহম্মদ জায়েদ মনসুরি। বছর একুশের মনসুরি একটি সন্তান প্রসব করার ঠিক পরের দিন ধর্ষণ করেন ওই নাবালিকাকে। কিন্তু আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেলেন তিনি। স্রেফ নিকাহনামা বা ম্যারেজ সার্টিফিকেট আদালতে পেশ করায়।
পরিবার জানিয়েছে, ওই নাবালিকার সঙ্গে তার সম্মতিতেই শরিয়ত আইন মেনে বিয়ে হয়েছিল মনসুরির। বিয়ের বছর খানেকের মাথায় একটি সন্তান প্রসব করে ওই নাবালিকা। কিন্তু সন্তানটি বাঁচেনি। তাই পরিবারের কাছে মুখরক্ষার জন্য প্রসবের পরের দিনই অসুস্থ স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হতে চায় মনসুরি। যাতে সে ফের সন্তান ধারণ করতে পারে। অসুস্থ ওই নাবালিকা রাজি না হলে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশের কাছে গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জমাদেয় নাবালিকার পরিবার। দীর্ঘ দিন মামলাও চলে আদালতে। কিন্তু অবশেষে নিকাহনামা পেশ করায় মামলার রায় ঘুরে যায় মনসুরির পক্ষে। সাতজন সাক্ষী এবং ৩৪টি নথিপত্র ঘেঁটে রায় দেন বিচারক- যেহেতু তারা স্বামী-স্ত্রী, সেইজন্য ঘটনাটিকে ধর্ষণ বলা যাবে না!
আদালতের রায়ে মাথা উঁচু করে বাড়ি ফিরেছে ধর্ষক! কিন্তু শোকের ছায়া নেমে এসেছে ধর্ষিতার পরিবারে। এই রায় মেনে না নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা- এরকমই পরিকল্পনা চলছে ওই নাবালিকার পরিবারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.