সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যতদিন যাচ্ছে ততই যেন বিকৃত কামনার বশীভূত হয়ে পড়েছে মানুষ। আর তাই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাশবিক সব কাণ্ডকারখানা খবর উঠে আসছে সংবাদের শিরোনামে। তেলেঙ্গানার রাজধানী থেকে ওড়িশার মন্দির শহর পুরীতে সব জায়গাতেই বিকৃতকাম মানুষের শিকার হচ্ছে মহিলারা। এবার উত্তরপ্রদেশে ঘুমন্ত দম্পতিকে খুনের পর মৃত গৃহবধূকে তিনঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ওই দম্পতির ১০ বছরের নাবালিকা মেয়ে ছাড় পায়নি ধর্ষকের হাত থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের মুবারকপুর এলাকা। তদন্তে নেমে ধর্ষক নাসিরুদ্দিন খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেক আগে আজমগড়ের মুবারকপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে এক দম্পতি ও তাদের চারমাসের শিশুপুত্রের নগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গুরুতর জখম ছিল দম্পতির ১০ বছরের নাবালিকা মেয়ে ও তার চার বছরের ভাইও। কোনওরকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে প্রতিবেশীকে জানায় তারা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে। এসময় মৃত গৃহবধূর যৌনাঙ্গে দিয়ে রক্ত পড়ছিল। রক্তাক্ত ছিল তাঁর ১০ বছরের মেয়ের শরীরও। বিষয়টি দেখে পুলিশের প্রাথমিকভাবে সন্দেহ হয় তাদের ধর্ষণ করা হয়েছে। তদন্তে নেমে ৩৪ বছরের নাসিরুদ্দিনের সন্ধান পায় তারা। এরপর সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এপ্রসঙ্গে আজমগড়ের পুলিশ সুপার ত্রিবেণী সিং বলেন, ‘খুনের পর ৩০ বছর বয়সী ওই গৃহবধূকে তিন ঘণ্টা ধরে ধর্ষণ করে ৩৮ বছরের নাসিরুদ্দিন। এমনকী সেই ঘটনার ভিডিও তুলে রাখে। পরে নিজের শ্যালিকা সেই ভিডিওটি দেখায়। যা দেখে চমকে ওঠেন ওই যুবতী। তারপর এক ফাঁকে সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে সব ঘটনার কথা খুলে বলে। জানায়, নাসিরুদ্দিন তাকে জানিয়েছে গত ২৪ নভেম্বর রাতে ওই দম্পতির বাড়িতে ঢুকে পড়ে সে। তারপর ছুরি ও পাথর দিয়ে ওই ঘুমন্ত দম্পতি ও তাদের চার মাসের সন্তানকে খুন করে। এর আগে সে মাদক নিয়েছিল ও ধর্ষণের সময় কন্ডোম ব্যবহার করেছিল। আর বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ওই দম্পতির ১০ বছরের নাবালিকা মেয়েকেও ধর্ষণ করে। তারপর তার চারবছরের ভাইকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। যদিও পরে অভিযুক্তের শ্যালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে নাসিরুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
পুলিশের জেরায় ধৃত নাসিরুদ্দিন জানিয়েছে, এর আগে হরিয়ানা, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে। কিন্তু, কেউ তাকে ধরতে পারেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.