সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখের পলকে আনন্দ বদলে গেল বিষাদে। বিয়ের আসরে চলল গুলি। আর তাতেই প্রাণ গেল একজনের। রবিবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ঘটনা ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক অমিত ভর্মা জানিয়েছেন, স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল ছিল এই বিয়ের প্রধান আয়োজক। হরিয়ানার বাসিন্দা রামপাল পাঁচ মহিলা ও এক শিশুকে খুনের দায়ে আজীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ভোগ করছে। সেই বিয়ের আসরেই হুলুস্থুল কাণ্ড। অভিযোগ, হিন্দুত্ববাদী এক ব্যক্তি বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রবেশ করে হুমকি দিতে শুরু করে। দাবি করেন, যে নিয়ম-রীতি মেনে বিয়ের আয়োজন করা হচ্ছে, তা বেআইনি। শুধু তাই নয়, এই বিবাহ হিন্দু ধর্মের বিরোধীও। আর সেই কারণেই তা রুখতে তৎপর হয়ে ওঠে ওই ব্যক্তি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনার ভিডিও। যেখানে দেখা যাচ্ছে, লাল পুলওভার গায়ে, চোখে সানগ্লাস এঁটে এক ব্যক্তি বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বিয়ের আসরে বন্দুক দেখেই আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন সেখানে উপস্থিত অতিথি-অভ্যাগতরা। সেই হুড়োহুড়িতেই এলাকার প্রাক্তন গ্রামপ্রধান দেবীলাল মীনা গুলিবিন্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আয়োজক রামপালের দাবি, রমাইনি রীতি অনুযায়ী বিবাহ আসরের আয়োজন করা হয়েছিল। এই রীতিতে মাত্র ১৭ মিনিটেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। আর এই বিষয়টাই মেনে নিতে পারেনি অভিযুক্ত বন্দুকবাজ। ঘটনায় ১১জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও ভিডিওতে যে ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, সে এখনও পুলিশের জালে ধরা পড়েছে কি না, নিশ্চিত নয়। পাশাপাশি কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসেবেই সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুভ অনুষ্ঠানে প্রাক্তন গ্রামপ্রধান তথা বিয়ের অন্যতম আয়োজকের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নামে এলাকায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.