সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমের পর হরিয়ানায় এনআরসি? রবিবার তেমনটাই ইঙ্গিত দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার। তবে এ পরিকল্পনার ব্যাপারে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। এমনকী কবে নাগাদ এনআরসি হবে, সে ব্যাপারেও মুখ খোলেননি তিনি। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মেয়াদে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন খাট্টার। রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোট উপলক্ষে বিজেপি আয়োজিত ‘জনসম্পর্ক কর্মসূচি’তে এদিন তিনি বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিচারপতি এইচ এস ভল্লা এবং প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা।
পাঁচকুলায় ১৬ নং সেক্টরে ভল্লার বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে খাট্টার বলেন, “রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের সভাপতিত্ব ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ভল্লা। এখন তিনি এনআরসি নিয়ে কাজ করছেন। আমিও ওঁকে বলেছি যে আমরা এখানে এনআরসি লাগু করব এবং কীভাবে লাগু করা যায়, সে ব্যাপারে ওঁর সাহায্যও চেয়েছি। তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, হরিয়ানার একটি আইন কমিশন থাকা উচিত। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখব এবং রাজ্যের মানুষ যদি তার দ্বারা উপকৃত হন, তাহলে আমরা রাজ্যে আইন কমিশন স্থাপনও করব।”
বিচারপতি ভল্লা নিজেও বলেছেন, “হ্যাঁ, আমি দুটি বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রস্তাব দিয়েছি- হরিয়ানায় এনআরসি এবং আইন কমিশন। এখন শুধু অসমেই এনআরসি রয়েছে। ফলে, যদি মুখ্যমন্ত্রী চান তাহলে হরিয়ানাতেও এনআরসি হতে পারে। রাজ্যে খাঁটি বাসিন্দাদের একটি কার্ড দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এটা কথার কথা।” তিনি আরও বলেন, “আগামিকালই আদর্শ আচরণবিধি লাগু করা উচিত। তাহলে কেউ আর এ নিয়ে কাজ করতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি
যদি ফের ক্ষমতায় আসে, তাহলে এ বিষয়টি ফের সামনে আসতে পারে। এত আগেভাগে কিছু বলা উচিত নয়। কিন্তু মানুষ যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে জন্য হরিয়ানায় এনআরসি লাগু করা ওঁর ইচ্ছা। এটা আধার কার্ডের মতোই একটা কার্ড হবে, কিন্তু আলাদা একটা কার্ড।” পরে এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী খাট্টার বলেছেন, সরকার হরিয়ানার বাসিন্দাদের পরিবারভিত্তিক আইডি কার্ড বিতরণের প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই চালু করেছে। রাজ্যে এনআরসি লাগু করার সময়ে ওই ডেটাবেসই ব্যবহার করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.