সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা দিয়েও বাড়ি ফেরা হল না। স্ত্রী সন্তানদের সঙ্গে পালন করা হল না ৪০ কোটায় পা দেওয়া জন্মদিনটা। লাদাখ সীমান্তেই নিভে গেল জীবনের শেষটুকু। ইন্দো-চিন সংঘর্ষে শহিদ হলেন জওয়ান কে পাঝানি।
তামিলনাড়ুর রামনাথপুরমের কাডুক্কালিয়ুরের (Kadukkaliyur) বাসিন্দা জওয়ান কে পাঝানি (K Pazhani)। ৩ জুন ছিল তাঁর জন্মদিন। ইচ্ছে ছিল কয়েকদিনের ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। জন্মদিনটা বাড়িতেই কাটাবেন আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গে। সীমান্তের সীমাহীন বরফের দিকে তাকিয়ে কাটানো দিনগুলির থেকে জন্মদিনটা আলাদা হবে। মে মাস থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন যে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু পরিকল্পনা আর বাস্তবের রূপ পেল না। এই দুইয়ের মধ্যে ফারাক থেকে গেল লক্ষ যোজন দূরত্বের। চিনের সঙ্গে ভারতের যুদ্ধ যুদ্ধ আবহে ছুটিই পেলেন না জওয়ান কে পাঝানি। এমনকি শেষ দেখাটুকুও আর হলনা পরিজনেদের সঙ্গে। সীমান্তেই ত্যাগ করতে হল শেষ নিঃশ্বাস।
স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন জওয়ান কে পাঝানির স্ত্রী বনতী পাঝানি। শোকে বিহ্বল হয়ে তিনি জানান, “বাড়ি থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমাদের জানানো হয়, সীমান্তে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই বাড়ি ফিরতে পারবে না।” অন্যদিকে বাবার মৃত্যুর খবরে একেবারে শান্ত হয়ে গেছে জওয়ানের ১০ বছরের দুরন্ত ছেলেও। তবে বাবা কখন আসবে তা জানতে চেয়ে মাঝে মধ্যেই একে ওকে প্রশ্ন করছে শহিদ জওয়ানের ৮ বছরের ছোট্ট মেয়ে। পরিবারের সকলকে সামলাতে চোখের জল না ফেললেও সন্তানের শোকে পাথর হয়ে গেছেন পাঝানির বাবা কালিমুথু। তিনি হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি যে এই দিন তাঁকে দেখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.