সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীঘরে ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিম সিং। সর্বক্ষণের সঙ্গী হানিপ্রীত ফেরার। কিন্তু ডেরা সাচা সওদা থেকে তথ্য মেলার শেষ নেই। এবার প্রায় ৬০০টি কঙ্কাল উদ্ধার হল সিরসায় ডেরার সদর দপ্তরের ভিতর থেকে। এই কঙ্কালগুলি পোঁতা ছিল বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ধর্ষক বাবাই এই তথ্য উগরে দেয় বলে সূত্রের খবর। এমনকি কঙ্কালগুলি কোথায় পুঁতে রাখা আছে, তাও জেরার মুখে বলে দেয় রাম রহিম।
[বিশ্বকর্মার কাহিনি পড়ানো হোক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের, নিদান মন্ত্রীর]
ডেরার প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট পি আর নইনকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি আদায় করে সিট। এই নথিতে ডেরার গণকবরের উল্লেখ ছিল। এমনকি ওই গণকবরের ওপর রাম রহিমের নির্দেশে গাছের চারা পোঁতা হয় বলে জানা গিয়েছে। ডেরাতেই কর্মরত এক জার্মান বিজ্ঞানীর পরামর্শে গণকবরের ওপর গাছের চারা পোঁতার নির্দেশ দেয় ধর্ষক বাবা। জেরায় উদ্ধার হয়েছে আরও তথ্য। রাম রহিমের এক শিষ্যা জানিয়েছেন, তাঁর সন্তান বহু বছর ধরে নিখোঁজ। সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে শিশুটি ডেরাতেই থাকত। ধর্ষক বাবার কথা মত মহিলা তাঁর সন্তানকে উৎসর্গ করেছিল ডেরাতে।
[জানেন, কেন কাশ্মীরে লস্করের কমান্ডার হতে চাইছে না কেউ? ]
সিরসাতে ডেরার সদর দপ্তরে ‘সেবা’র কাজে লাগানো শিশুদের ব্যবহার করা হত। এমনকি শিশু জোগাড়ের জন্য কাগজে রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিত ধর্ষক বাবা। সেই বিজ্ঞাপন দেখেই পানিপথের বাসিন্দা ওই মহিলা নিজের সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন বলে তদন্তকারীদের জানিয়েছেন।
এর আগেও, একটি সর্বভারতীয় ইংরাজি সংবাদ মাধ্যম ডেরার ভিতরে কঙ্কাল উদ্ধারের দাবি করে। ডেরা মুখপাত্র নাকি স্বীকার করেন আশ্রমের আবাসিকদের মৃত্যুর পর সেখানেই সমাধিস্থ করা হত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.