সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে এবার বড় রকম দাঁও মারতে উদ্যত হয়েছেন বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতী। তাঁর দল এবার তাঁকে দলীয় তরফে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রচার করতে চাইছে।
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি এখন জেডিএসের দখলে। আঞ্চলিক দলের এমন উত্থানের পর নড়েচড়ে বসেছে বিএসপি। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও ফুলপুরের উপনির্বাচনে অখিলেশ-মায়াবতী জোট বড়সড় সাফল্য পেয়েছিল। গোরক্ষপুরে, যোগীর ঘরে খোদ যোগীর দলের প্রার্থীকেই হারিয়ে দিয়েছিলেন জোটপ্রার্থী। সেই জয়ের কথা মাথায় রেখে এবার জাতীয় পর্যায়ে জয়ের জন্য ঝাঁপাতে চাইছেন বিএসপি সুপ্রিমো। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকেই দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসেবে প্রচার করতে চাইছে দল। তবে গত লোকসভা নির্বাচনে বিএসপি কোনও সিট পায়নি। সেই হিসেবে মায়াবতীর এই পদক্ষেপ বাড়াবাড়ি বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বিএসপি তা মনে করছে না। বরং উত্তরপ্রদেশ ও কর্ণাটকের ফলাফলের পর জাতীয স্তরে সাফল্যের একটি সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে দল।
[ প্রকাশিত সিবিএসই-র দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল, টেক্কা দিল ছাত্রীরাই ]
এদিকে, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে কংগ্রেসের সঙ্গে আগেভাগেই জোট সেরে ফেলতে চাইছেন মায়াবতী। খবর, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়েও গেরুয়া শিবিরকে হটাতে কংগ্রেসের সঙ্গেই জোট করছেন তিনি। খুব শীঘ্রই প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলতে চাইছে বিএসপি নেতৃত্ব। এই নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ দিল্লিতে ব্যস্ত রয়েছেন বিএসপি সুপ্রিমো।
[ মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নতুন বিভাগ আনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ]
কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে মঞ্চে হাত মিলিয়েছিল বিএসপি ও জেডিএস। ‘বন্ধুত্ব’-র উপহারস্বরূপ কর্ণাটকে একটি সিট পকেটস্থ করে বিএসপি। মঞ্চে মায়াবতী ও সোনিয়া গান্ধীকে সৌহার্দ্য বিনিময় করতেও দেখা যায়। বিএসপি যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করতে চাইছে, তখনই তার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। শুধু সোনিয়া নয়, কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলছেন মায়াবতী। শোনা যাচ্ছে, কংগ্রেসও নাকি বিএসপির সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী। তবে এনিয়ে এখন দু’দলই মুখে কুলুপ এঁটেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.