সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভেঙে পড়ল ভারতীয় নৌসেনার যুদ্ধবিমান। শনিবার গোয়ার নৌসেনা ঘাঁটি থেকে রুটিন মাফিক ডানা মেলে মিগ-২৯কে বিমানটি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে যুদ্ধবিমানটি। তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দুই পাইলটই।
ডাবোলিম এয়ারপোর্টের আইএনএস হানসা থেকে বিমানটি মহড়ার জন্য উড়েছিল। বিমান তখন মাঝ আকাশে। মিগ ২৯কে বিমানটি একটি পাখির ঝাঁকের মধ্যে পড়ে যায়। বিপত্তির শুরু হয় এখান থেকেই। বিমানে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার পরই বিমান থেকে ঝাঁপ দেন পাইলট ক্যাপ্টেন এম শেওখান্ড ও লেফ্টেনেন্ট দীপক যাদব।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই পাইলটই সুস্থ রয়েছেন। সেনা সূত্রে খবর , আগুন লেগে যাওয়ার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বুঝতে পেরে এম শেওখাণ্ড ও দীপক যাদব বিমানটিকে কোনও ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ল্যান্ড করানর চেষ্টা করেন। তাতেও কিছু করা যায়নি। তখন তাঁরা ঝাঁপ দেন বিমান থেকে। একটি ফাঁকা মাঠে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাই এড়ানো গিয়েছে অনেক ক্ষয়ক্ষতি।
মিগ সিরিজের বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এই বিমান চালাতে গিয়ে মৃত্যুও হয়েছে বায়ুসেনার বহু পাইলটের। সম্প্রতি জুন মাসেও এমনই একটি মিগ-২৯কে বিমান ভেঙে পড়েছিল। সেবারের ঘটনাও ঘটেছিল গোয়াতেই। দুর্ঘটনার জেরে বিমানবন্দরে ৯০ মিনিটের জন্য বিমান ওঠানামা বন্ধ ছিল।
মিগ সিরিজের বিমানগুলি ভারতীয় বায়ুসেনার অনেক সাফল্যের সঙ্গীও। কারগিল যুদ্ধে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি ছিল মিগ যুদ্ধ বিমান। আবার সম্প্রতি বায়ু সেনা অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২১ বিমানে চড়েই পাকিস্তানে ঢুকে হামলা চালিয়েছিলেন।
সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ‘মিকোয়ান গুরেভিচ’ ডিজাইন ব্যুরো এই মিগ বিমানের নকশা তৈরি করেছিল। এটি একটি চতুর্থ প্রজন্মের সুপারসোনিক জেট ফাইটার। এর প্রস্তুতকারক সোভিয়েত ইউনিয়ন। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার বিমান বাহিনীতে এই বিমান প্রথম নিযুক্ত করা হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি জেট ফাইটারগুলির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত এই সুপারসনিক জেট ফাইটারটি। দীর্ঘদিন ইউরোপীয় দেশগুলির বিমান বাহিনীর অন্যতম ভয়ের কারণ ছিল এই মিগ- ২৯ বিমান। এই যুদ্ধবিমানটি সবরকম আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম। ‘ডগ ফাইটের’ পাশাপাশি মাটিতে হামলার জন্যও এটি সমানভাবে সক্ষম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.