সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মধ্যপ্রদেশ। বিচুলি আনতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার নাবালিকা। ধর্ষকদের একজনের পায়ে কামড় বসিয়ে দেয় নির্যাতিতার পোষা সারমেয়। পাষণ্ডরা সারমেয়কেও ছাড়েনি। অবলা প্রাণীটিকে তারা ছুরিতে ফালা ফালা করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পিঠ বাঁচাতে জটলা ছাড়িয়ে চম্পট দেয় দুই অভিযুক্ত। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। নির্যাতিতা নাবালিকাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। ন্যক্কারজনক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার কারিলা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, সন্ধ্যার পরে গোটা গ্রামে মশার উপদ্রব খুব বেড়ে যায়। তাই প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই ধোঁয়া দিয়ে মশা তাড়ানোর বন্দোবস্ত করা হয়। ওই নাবালিকা ধোঁয়া দেওয়ার জন্যই বিচুলি খুঁজতে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল। ততক্ষণে রাত নেমেছে। স্থানীয় আইসু আহিওয়ার(৩৯) ও পুনিত আহিওয়ার(২৪) বিষয়টি লক্ষ্য করে। বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দূরে যাওয়ার পর আচমকাই নাবালিকাকে আক্রমণ করে তারা। একটি নির্জন জায়গা নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সম্ভ্রম বাঁচাতে সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করে ওই নাবালিকা। মালকিনের গলার আওয়াজ পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে পোষা সারমেয়। খুঁজতে খুঁজে সোজা অকুস্থলে পৌঁছে যায় সে। আক্রান্ত মালকিনকে বাঁচাতে ধর্ষকদের একজনের পায়ে কামড় বসায়। সঙ্গে সঙ্গেই ছোরা দিয়ে প্রাণীটিকে পালটা আক্রমণের চেষ্টা করে দুই অভিযুক্ত। তবে লাভ হয়নি। এদিকে সারমেয় ও নাবালিকার চেঁচামেচি বাসিন্দাদেরও কানে পৌঁছায়। তবে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা, ততক্ষণে চম্পট দিয়েছে দুই অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে। এদিকে নির্যাতিতার পোষা সারমেয়কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন প্রতিবেশীরা। মালকিনের উপর হওয়া নারকীয় অত্যাচার সেই প্রথম টের পেয়েছিল। সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের সাধ্যমতো শাস্তিও দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.