সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাপারটা নিয়ে পুলিশের সামনে মুখ খুললেই কিন্তু বিপদ হবে। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার যা হাল হয়েছিল, তেমনটাই হবে। নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার পর এভাবেই হুমকি দেওয়া হল।
কানপুরের এমন ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসপি অপর্ণা গুপ্তা জানান, এই ঘটনায় দুই অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। নাবালিকার অভিযোগ, অভিযুক্ত দীপক তার রাস্তা আটকে যৌন হেনস্তার চেষ্টা করে। প্রতিবাদ জানাতে গেলে দীপক তার বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে নেয়। এরপর নাবালিকাকে টেনে-হিঁচড়ে একটি বাড়ির ভিতর নিয়ে যায় তারা। এমন পরিস্থিতিতে চিৎকার করতে থাকে কিশোরী। তার চিৎকার শুনেই ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরাই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে অভিযুক্তরা তার পরিবারকেও হেনস্তা করে। বলে, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেনি। এরপর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে নৌবাস্তা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যাওয়ার সময়ই অভিযুক্তরা আমায় হুমকি দেয়। উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিণতির কথা মনে করিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। তার পর থেকেই আমার অভিভাবকরা আতঙ্কে রয়েছেন।”
ঘটনায় পুলিশের উদাসীনতায় মর্মাহত নাবালিকার পরিবার। বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে নাবালিকা একটি ভিডিও রেকর্ড করে সুবিচার চেয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করে। পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হয়েছে। অভিযুক্ত বিরুদ্ধে প্রমাণ মিললে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, বছর খানেক আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের এক যুবতীকে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও কিছুদিনের মধ্যে জামিনও পেয়ে যায় সে। আদালতে যাওয়ার পথে যুবতীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সেই অভিযুক্তরাই। ৯০শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি থাকার পর মৃত্যু হয় নির্যাতিতার। কানপুরের নাবালিকার সেই পরিণতি হবে বলেই হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্তরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.