সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (New Delhi) এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক মাংসবিক্রেতার বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার মায়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল অভিযুক্ত। আপত্তিকর অবস্থায় দু’জনকে দেখে ফেলার মাসুল দিতে হল নাবালিকাকে। ধর্ষণ করার পরে পাথর দিয়ে মেরে ওই নাবালিকার মুখ বিকৃত করে দেয় অভিযুক্ত। যাতে ওই নাবালিকাকে শনাক্ত না করা যায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত মাংসবিক্রেতাকে।
জানা গিয়েছে, ৩৬ বছর বয়সি অভিযুক্তের নাম বাদশা। গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় ওই নাবালিকা। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার বাবা। বেশ কিছুদিন কেটে গেলেও ওই নাবালিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত গত ১৮ আগস্ট রাজঘাট সংলগ্ন এলাকা থেকে নাবালিকার পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। পোশাক দেখে দেহ শনাক্ত করেন নাবালিকার মা-বাবা। দেহের ময়নাতদন্ত করে জানা যায়, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে।
দেহ উদ্ধারের পরেই দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল এই ঘটনার বিশদ তদন্তের দাবি জানান। তারপরেই শহরজুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পঞ্চাশজন পুলিশকর্মীকে (Delhi Police)। দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে পুলিশ বুঝতে পারে, বাদশা ওরফে রিজওয়ানই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সোমবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় বাদশা জানিয়েছে, একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সে। তারপরে খুন করে পাথর দিয়ে মেরে মুখ থেঁতলে দেয়, যেন কেউ চিনতে না পারে।
গোটা ঘটনায় নাবালিকার মায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, ওই নাবালিকা নিজের মায়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিল বাদশাকে। নাবালিকা তার বাবাকে সব বলে দেবে, সেই ভয়েই তাকে খুন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাদশা। কিন্তু পুরো বিষয়টি নাবালিকার মা জানতেন কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা হলেও গত কুড়ি বছর ধরে কর্মসূত্রে দিল্লিতেই থাকে বাদশা। আগেও তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধ করার অভিযোগ রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.