ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস (Hathras) গণধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল গোটা দেশ। দিকে দিকে জ্বলছে ক্ষোভের আগুন। দোষীদের কড়া শাস্তি হবে বলেও জানাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও রোখা যাচ্ছে না ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ফের সামনে এল একাধিক ধর্ষণের ঘটনা। একদিকে যেখানে মধ্যপ্রদেশে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও গোটা গ্রামে ছড়িয়ে দেওয়া হল, অন্যদিকে আবার বিহারের গয়ায় আত্মঘাতী হলেন গণধর্ষিতা (Gang Rape)।
কোথায় নারী নিরাপত্তা? আর কবে সভ্য হবে সমাজ? একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় এই প্রশ্নগুলোই ঘুরে-ফিরে উঠছে। মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার ঘটনা শুনেও শিউরে উঠছেন সকলে। অভিযোগ, গত ২২ সেপ্টেম্বর এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে দেওয়া হয়। দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সেই ভিডিও। শুক্রবার তা পৌঁছায় পুলিশের কাছেও। এরপরই তদন্তে নেমে ২৫ জনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। যারা সেই ভিডিওটি ফরোয়ার্ড করেছিল। প্রত্যেককে ভিডিওটি ডিলিট করতে বলা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত অরুণ প্যাটেল এবং ১৫ বছরের এক কিশোরকে। পুলিশ জানতে পারে ওই নাবালকই গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেছিল। নির্যাতিতার তরফে অভিযোগ, ওই ভিডিও দেখিয়ে দুই অভিযুক্ত তাকে ব্ল্যাকমেল করারও চেষ্টা করছিল।
দামোহর অ্যাডিশনাল এসপি শিবকুমার সিং জানান, সাইবার সেলের সাহায্য নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের প্রত্যেককে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়। একইসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ এবং পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
এদিকে, গয়ায় চার পুরুষের লালসার শিকার হয়ে লজ্জায় আত্মঘাতী এক দলিত তরুণী। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবার ইতিমধ্যেই চারজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তার মধ্যে তিনজনের নামও জানিয়েছেন তাঁরা। অভিযুক্তরা হল রাহুল কুমার, চিন্টু কুমার ও চন্দন কুমার। ইতিমধ্যেই গয়া মেডিক্যাল কলেজে মৃতার ময়নাতদন্ত হয়েছে। রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.