সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের কৃষি গবেষণা পরিষদের (ICAR) প্রাক্তন ডিরেক্টর তথা পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী সুব্বান্না আয়াপ্পানের রহস্যমৃত্যু। গত শনিবার কর্নাটকের শ্রীরঙ্গপাটনার সাঁই আশ্রমের কাছে কাবেরী নদী থেকে উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। গত তিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এই বিজ্ঞানী। রবিবার তাঁর দেহ শনাক্ত করে আয়াপ্পানের পরিবার। বিজ্ঞানীর এমন রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অস্বাভাবিক খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গত ৭ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুব্বান্না আয়াপ্পান। এই ঘটনায় মাইসুরুর বিদ্যারণ্যপুরম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। ঘটনার দিন স্কুটার নিয়ে বের হলেও সঙ্গে মোবাইল নেননি। বিজ্ঞানীর খোঁজে নেমে সাঁই আশ্রমের কাছ থেকে উদ্ধার হয় স্কুটারটি। এরপর শনিবার নদী থেকে দেহ উদ্ধার হলে পরিবারের লোকজন তা শনাক্ত করেন। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ না জানা গেলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে নদীতে স্নান করতে নেমে কোনওভাবে তলিয়ে যান তিনি। এরপর শনিবার নদীতে ভেসে ওঠে তাঁর দেহ।
উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালের ১০ ডিসেম্বর, চামরাজানগর জেলার ইয়েলানুরে জন্ম সুবান্নার। ১৯৭৭ সালে মেঙ্গালুরু থেকে স্নাতকোত্তর ও ১৯৯৮ সালে বেঙ্গালুরুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষিক্ষেত্রে পিএইচডি করেন তিনি। ভারতে নীল বিপ্লব (Blue Revolution)-এর অন্যতম জনক বলা হয় তাঁকে। ভারতে মাছ চাষের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিলেন তিনি। মৎস্য চাষে উন্নয়ন, গ্রামীণ এবং উপকূল এলাকায় মাছ চাষ বাড়ানোর পাশাপাশি এই কর্মক্ষেত্রে যুক্তদের আর্থিক উন্নতিতে তাঁর বিরাট অবদানের জন্য ২০২২ সালে তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হয় সুবান্নাকে।
আইসিএআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল হওয়ার আগে ভুবনেশ্বর এবং মুম্বইয়ের সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউউট অব ফিসারিজ এডুকেশনের ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন সুবান্না। হায়দরাবাদের ন্যাশনাল ফিসারিজ ডেভলপমেন্ট বোর্ড গঠনের সময় তিনি ছিলেন সেখানকার চিফ এক্সিকিউটিভ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.