সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিজোরামের (Mizoram) পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত লালডুহোমা (Lalduhoma)। শপৎগ্রহণের আগে বুধবার জানালেন, দ্রুত অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধান চান তিনি। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে কথা বলবেন। উল্লেখ্য, মায়নামার এবং বাংলাদেশি উদবাস্তুতে ভরে গিয়েছে মিজোরাম। সঙ্গে জুটেছে মণিপুরের কুকি সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। যাঁরা মণিপুরে হিংসা শুরু হওয়ার পর দলে দলে মিজোরামে ঢুকতে শুরু করে।
জুন্টা মায়ানমারের দখল নেওয়ার পর সেখানকার ৩২ হাজার মানুষ মিজোরামে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিগত সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকেও ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষ মিজোরামে পালিয়ে এসেছে। এছাড়াও মণিপুরে অশান্তির পুর কুকি সম্প্রদায়ের ১৩ হাজার মানুষ বর্তমানে লালডুহোমার রাজ্যে। উত্তরপূর্বের রাজ্যটির অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে উদবাস্তু। মিজোরামের হবু মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আমাদের সরকার বিদায়ী এমএনএফ সরকারের তুলনায় শরণার্থীদের ভালভাবে ত্রাণ সাহায্য দেওয়ার চেষ্টা করবে।
এর পরেই লালডুহোমা বলেন, “আমি মঙ্গলবার অমিত শাহ এবং এস জয়শংকরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। শীঘ্রই উভয়ের সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করব। কীভাবে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে মায়ানমার ও বাংলাদেশের উদ্বাস্তু এবং মণিপুর থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের দেখাশোনা করতে পারে, এই বিষয়ে কথা হবে তাঁদের সঙ্গে।”
লালডুহোমার জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল। যা ছয়টি দলকে একত্রিত করে গঠিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক রাজ্য নির্বাচনে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টের (এমএনএফ) জোরামথাঙ্গাকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ৪০ আসনের মিজ়োরাম বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদু সংখ্যা ২১। লালডুহোমার জেডপিএম জিতেছে ২৭টি আসনে। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার দল এমএনএফ পেয়েছে মোটে ৯টি আসন। হয়তো আরও ১টি জুটতে পারে। বিজেপি এবং কংগ্রেস ২টি ও ১টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন ইন্দিরার প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী ৭৩ বছরের লালডুহোমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.