সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তামিলনাড়ুতে ‘ভাষাযুদ্ধে’র আবহে নতুন মোড়। ‘তামিল অস্মিতা’ রক্ষার জন্য বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন রঞ্জনা নাচিয়ার। বিখ্যাত এই অভিনেত্রী দীর্ঘদিন ধরে তামিলনাড়ু বিজেপির শিল্প ও সংস্কৃতি বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। তবে মঙ্গলবার গেরুয়া শিবির থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। অভিনেত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য জাতীয়তাবাদকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে রঞ্জনা লেখেন, ‘গত আট বছর ধরে বিজেপিতে নানা ভূমিকায় কাজ করেছি। তবে এবার বিদায়। লোকে ভাবে বিজেপি জাতীয়তাবাদী দল, যারা দেশের স্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়, যারা ধর্মকে রক্ষা করে। কিন্তু আমি দেখতে পাচ্ছি কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য জাতীয় পরিচয় এবং ধর্মীয় মতাদর্শকে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আর সম্ভব নয়।’ নিজের তামিল পরিচয় উল্লেখ করে রঞ্জনা আরও বলেন, ‘তামিল ভাষার গরিমা, তামিল সংস্কৃতির ঐতিহ্য আর তামিল অস্মিতার সঙ্গে আপস করা সম্ভব নয়। যারা এটা বোঝে না, তাদের সঙ্গে থাকা যায় না।’
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ‘ভাষাযুদ্ধে’র আবহ তামিলনাড়ুতে। ‘দেশের বহু আঞ্চলিক ভাষাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে হিন্দি’, দিনকয়েক আগে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তামিলনাড়ুর উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন জানিয়েছিলেন, হিন্দি আগ্রাসন এবং জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নেওয়ার জন্য তামিলনাড়ু সরকারকে কার্যত হুমকি দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। শিক্ষা সংক্রান্ত অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও নাকি জানানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর তরফে।
প্রয়োজনে ভাষাযুদ্ধের জন্যও তৈরি তামিলনাড়ু, সাফ জানিয়েছেন স্ট্যালিন। কিছুতেই জাতীয় শিক্ষানীতি মেনে নেবেন না বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। ডিএমকে প্রধানের কথায়, ২ হাজার কোটি টাকার অনুদানের জন্য জাতীয় শিক্ষানীতিতে সই করলে ২ হাজার বছর পিছিয়ে যাবে তামিল সমাজ। যদি কেউ অন্য ভাষা চাপিয়ে দিতে চায় তাহলে বাধা দিতে হবে। বিজেপি অবশ্য স্বভাবতই স্ট্যালিনের অবস্থান নিয়ে খোঁচা দিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে রঞ্জনার দলত্যাগের জেরে অস্বস্তিতে পড়বে গেরুয়া শিবির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.