সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সৌহার্দের রাজনীতি দিয়ে মোদিকে বাজিমাত করার ছক কষেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে রাহুলের আলিঙ্গন এখনও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয়। কিন্তু এবার এই সৌহার্দ্য অস্ত্রেই কংগ্রেসকে পালটা দিল আরএসএস। স্বাধীনতা আন্দোলনে কংগ্রেসের ভূমিকা অপরিসীম, মানলেন সরসংঘপ্রধান।
জাতীয় স্তরে সংঘের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দিল্লিতে একটি ‘সংবাদ’-এর আয়োজন করেছিল আরএসএস। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দেশের সব বিরোধী দলের শীর্ষনেতাদের। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, শশি থারুরকে। কিন্তু বিরোধীদের মধ্যে তেমন কেউই আরএসএসের আমন্ত্রণে সাড়া দেননি। এ নিয়ে বিজেপি নেতারা বিরোধীদের মুণ্ডপাতও করেছেন। তারা বলছেন, যাঁরা মুখে বহুত্ববাদের কথা বলেন তাঁরা আরএসএস মতবাদকে গ্রহণ করা তো দূরের কথা তা শোনারও প্রয়োজন বোধ করছেন না, এ দ্বিচারিতা কেন?
এইসব বিতর্কের মধ্যে অবশ্য শিরোনাম কু়ড়িয়ে নিলেন সরসংঘপ্রধান মোহন ভাগবত। বিরোধীরা তাঁর আমন্ত্রণে সাড়া না দিলেও এদিন ভাগবতের গলায় শুরু থেকেই শোনা গেল কংগ্রেসের ভূয়সী প্রশংসা। মোহন ভাগবত স্বীকার করে নিলেন, “কংগ্রেসের আঙিনায়, একটা বিরাট বিপ্লব গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। কংগ্রেসই অসংখ্যা সর্বত্যাগী মহান মনীষীদের জন্ম দিয়েছে, যারা আমাদের আজও অনুপ্রেরণা দেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেসের এই বিপ্লব সাড়া জাগিয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যেও। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাসে কংগ্রেসের বড় হাত রয়েছে।” শুধু কংগ্রেসের প্রশংসা করা নয়, মোহন ভাগবতের মুখে শোনা গেল কংগ্রেসীদেরই আপ্তবাক্য। তিনি বললেন, “ভারত বহুত্ববাদের দেশ, আমাদের উচিত এই বহুত্ববাদকে গ্রহণ করা, এবং উপভোগ করা।” আরএসএসে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিয়েও এদিন অকপট স্বীকারোক্তি সংঘ প্রধানের। তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে, সরাসরি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত না হলেও, আমাদের অনেক শাখা সংগঠনের সঙ্গে মেয়েরাও যুক্ত থাকেন।” রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘বিজেপির পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে পরিচিত আরএসএস উনিশের আগে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়ে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। আপাতত আরএসএসের এই সৌহার্দ্যের রাজনীতি বিরোধীদের বেশ বিপাকেই ফেলতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.