সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালামের ব্রোঞ্জমূর্তির সামনে গীতা রাখা নিয়ে বিতর্ক ছিল তুঙ্গে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করতে অবশেষে আসরে নেমেছিলেন কালামেরই আত্মীয়। গীতার পাশে মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থ কোরান ও বাইবেলও রেখে দেন তিনি। কিন্তু এরপরই মাথা চাড়া দিল নয়া বিতর্ক। গীতা, কোরান, বাইবেল নিয়ে সমালোচনার রেশ শেষ হতে না হতেই এবার সরব হল এক কট্টর মুসলিম দল। কালাম মুসলিমই ছিলেন না। এমনই বিস্ফোরক দাবি তোলা হয়েছে সেই দলের তরফে।
তামিলনাড়ুর থৌহিদ জামাত নেতা জইনুলাবুদ্দিনের অভিযোগ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মূর্তি পুজো করতেন। এমনকী সাধু-সন্তেও বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। আর এই কারণেই তাঁকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তি বলতে নারাজ নেতা। তিনি বলেন, “দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে কালাম তেমন পরিচিত ছিলেন না। বিজ্ঞানীদের ভিড়ে তিনি ছিলেন একজন। বিজেপির নেতারা ও সংঘ দেখে, মূর্তি পুজোয় কালাম আগ্রহী। শুধু তাই নয়, সাধু-সন্ন্যাসীদের উপরও বেশ বিশ্বাস রয়েছে তাঁর। সেই কারণেই বিজেপি তাঁকে রাষ্ট্রপতির আসনে বসিয়েছিল।” এখানেই থামেননি তিনি। সঙ্গে জুড়ে দেন, “রাষ্ট্রপতির নামটাই মুসলিমদের মতো। তিনি নিজে এই সম্প্রদায়ের নন। আর তাই তাঁর মূর্তির সামনে কোরান না রাখা নিয়ে আমরা কোনও প্রতিবাদ জানাইনি।” জইনুলাবুদ্দিনের বক্তব্য, কালামের মূর্তিতে তাগা জড়িয়ে দিলে অথবা সন্ন্যাসীদের পবিত্র ছাই মাখিয়ে দিলেও তাঁরা প্রতিবাদ জানাবেন না।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই কালামের মৃত্যুবার্ষিকীতে তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে তাঁর গ্রাম পেইকারাম্বুতে একটি স্মারক ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তামিলনাড়ু সরকারের দেওয়া জমিতে ১৫ কোটি টাকা খরচ করে ওই ভবনটি তৈরি করে প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ও অন্যান্য সরকারি দপ্তর। সেদিন বীণাবাদনরত কালামের একটি মূর্তিরও উদ্বোধন করেছিলেন মোদি। সেই মূর্তির সামনেই গীতা রাখা হয়েছিল। আর তারপরই সমালোচনার মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। মাক্কাল কাটচি নামের এক কট্টরপন্থী হিন্দু দল গীতা রাখার প্রতিবাদে নেমেছিল। সেই বিতর্ক থামাতেই কোরান ও বাইবেল সংযোজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.