ইংল্যান্ডের জ্যাকব সকল মোহ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী জয় কিষাণ সরস্বতী হয়ে উঠেছেন।
হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: এই মহাকুম্ভ যেন সত্যিই মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম, কানাডা, ইকুয়েডর, ব্রাজিলের মতো বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা ভারতীয় ঐতিহ্য ও সনাতন সংস্কৃতির আধ্যাত্মিক মোহে মোহিত হয়ে সঙ্গমের তীরে ভিড় জমিয়েছেন। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মেলবন্ধনের দৃশ্য তাঁরা চাক্ষুষ করছেন। হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করছেন। আর এই বিদেশী পর্যটকদের ভিড়ে আলাদা করে সকলের নজরে কেড়েছেন ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের জ্যাকব। যিনি সম্পূর্ণরূপে সনাতন ধর্ম গ্রহণ করে, পার্থিব জীবনের সকল মোহ ত্যাগ করে সন্ন্যাসী জয় কিষাণ সরস্বতী হয়ে উঠেছেন।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতি জ্যাকবকে এতটাই মুগ্ধ করে যে তিনি প্রায় এক দশক ধরে ভারতেই বসবাস করছেন। কাশী, হরিদ্বার, ঋষিকেশ, মথুরা, বৃন্দাবন, উজ্জয়িনী এবং পুরীর মতো পবিত্র এবং ঐতিহ্যপূর্ণ শহর পরিদর্শন করেছেন। যদিও প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে এই প্রথমবার তিনি এসেছেন। সেখানেই জ্যাকব থেকে জয় কিষাণ হয়ে ওঠার গল্প সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে গিয়ে তিনি বলেন, ম্যানচেস্টার থেকে স্নাতক হওয়ার পর ইংল্যান্ডের এক ক্রিয়েটিভ এজেন্সিতে কাজ করছেন। কিন্তু ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি সবসময়ই তাঁকে আকর্ষণ করত।
শুধু তাই নয়, ভারতীয় সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতাকে ভালোবেসে জ্যাকব ভগবদগীতা পড়ে হিন্দি ও সংস্কৃত ভাষা শিখে নেন। ২০১৩ সালে তিনি প্রথম কাশীতে যান। এরপর পূর্ববর্তী জীবন ত্যাগ করে স্বামী উমাকান্তানন্দের সঙ্গে বিভিন্ন তীর্থস্থানে ভ্রমণ করতে থাকেন। এমনকী হরিদ্বার কুম্ভের সময় জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী উমাকান্তানন্দের সঙ্গে বিভিন্ন তীর্থস্থানে ভ্রমণ করতে থাকেন। তখনই স্বামী উমাকান্তানন্দের কাছে দীক্ষা নেন জ্যাকব। হয়ে ওঠেন সন্ন্যাসী জয় কিষাণ সরস্বতী। এখন এই নামেই সকলে তাঁকে চেনেন। তবে প্রথমবারের জন্য প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভে এসে আলাদাই অনুভূতি হয়েছে তাঁর। অমৃতস্নান থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার জন্য মহাকুম্ভকে ভারতীয় সংস্কৃতির শক্তির প্রতীক রূপে চিহ্নিত করেছেন সন্ন্যাসী জয় কিষাণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.