ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাতে বিদ্যৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় স্ত্রীর, তার ব্যবস্থা করেছিলেন স্বামী। অভিযোগ, বাড়ির লোহার তৈরি গেটে খোলা বিদ্যুতের তার ঝুলিয়ে দেন ওই ব্যক্তি। ভাগ্যের জোরে স্ত্রী অবশ্য বেঁচে যান। কিন্তু বিদ্যৎস্পৃষ্ট মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির শাশুড়ির। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বেতুল জেলার (Betul District) এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পলাতক অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মামলা হয়েছে নির্দিষ্ট ধারায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভয়ংকর হত্যার ঘটনাটি রাজ্যের বেতুল জেলার কোতায়ালি থানার অন্তর্গত সইখেদা গ্রামের। জামাইয়ের ষড়যন্ত্রে সোমবার মৃত্যু হয়েছে বছর ৫৫-র প্রৌঢ়ার। কোতায়ালি থানার পুলিশ প্রধান অপলা সিং (Kotwali Police Station In-Charge Apaala Singh) জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি মদ্যপ। মদ খাওয়া নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত অশান্তি হত। এছাড়াও কারণ ছাড়া নেশা করে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করত সে। রবিবার রাতে স্বামী মদ খেয়ে বাড়ি ফিরলে তুমুল ঝগড়া হয় দম্পতির মধ্যে। রাগে ওই রাতেই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান মহিলা।
এরপর সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ি আসেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। স্ত্রীকে খুনের ছক কষেন তিনি। তার জন্য ওই বাড়ির লোহার গেটে খোলা বিদ্যুতের তার ঝুলিয়ে দেন। যদিও তাতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়নি। তিনি ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান। তার আগেই ওই ব্যক্তির শাশুড়ি লোহার গেট ধরে দাঁড়ান। ৫৫ বছর বয়সি ওই মহিলার মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলে। শাশুড়ির মৃত্যুর কথা জানাজানি হতেই শ্বশুরবাড়ি ছেলে পালায় অভিযুক্ত। এর পর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত নামে পুলিশ। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে মদ্যপ অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দাম্পত্য অশান্তির জেরে দু’দিন আগেই চরম ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়। যৌনাঙ্গ কেটে স্বামীকে খুন করেন স্ত্রী। বাড়ি থেকে তুলে দেহ ফেলে দেওয়া হয় অন্যত্র। ঘটনার পর ফেরার হয় অভিযুক্ত মহিলা। ওড়িশার জাজপুরের ঘটনার নৃশংসতায় আঁতকে উঠছেন সকলেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.