সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেপালি বলে মধ্যপ্রদেশের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করার অভিযোগ উঠল। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীদের বাবা। বহিষ্কৃত ছাত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে এই বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। মান্ডু রোডে অবস্থিত ওই এমিনেন্ট পাবলিক স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে ধার জেলার শিক্ষা বিভাগ।
ধার জেলার শিক্ষা আধিকারিক মঙ্গেশ ব্যাস বলেন, ‘ওই স্কুলে ছাত্রী দুটিকে নেপালি বলে খেপানো হত বলে তাদের অভিযোগ। প্রায় প্রতিদিন একই ঘটনা ঘটায় মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা। শেষে বাধ্য হয়ে বাড়ির সবাইকে বিষয়টি জানায়। এরপরই ওই দুই ছাত্রীর বাবা স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। আর সেই আলোচনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও শুরু হয়। অনেক বচসার পর ওই ছাত্রী দুটির বাবার হাতে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট ধরিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বলে, মেয়েদের অন্য স্কুলে নিয়ে গিয়ে ভরতি করতে। এরপরই সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি অভিযোগ জানায় মেয়ে দুটি। তার ভিত্তিতেই ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
এপ্রসঙ্গে মেয়েদুটির বাবা নরবাহাদুর বলেন, ‘প্রতিদিনই স্কুলে ওদের নেপালি বলে হেনস্তার স্বীকার হতে হত। সবাই ব্যঙ্গ করত। বাধ্য হয়ে সব কথা আমাকে জানায় ওরা। এরপরই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যাই আমি। কিন্তু, আমার অভিযোগের কথা সুরাহা না করেই মেয়েদের স্কুল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। আমার আরও একটি মেয়ে ওই স্কুলে পড়াশোনা করে। তাকে অবশ্য ট্রান্সফার করা হয়নি।’
যদিও নরবাহাদুরের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই স্কুলের প্রিন্সিপাল ডঃ পি ভুবেন্দ্রম। উলটে তাঁর দাবি, নেপালি বলে ওই ছাত্রীদের বহিষ্কার করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওদের বাবা মদ্যপ অবস্থায় স্কুলে এসে গন্ডগোল করছিল। তাকে আটকাতে গেলে এক শিক্ষককে মারধরও করে। তাই ওই ছাত্রীদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.