প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাক চোখ ও মুখে আঠালো পদার্থ এঁটে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন। খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। নিথর মাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে খুনে বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করল নাবালক পুত্র। মৃত গৃহবধূর নাম দুর্গা বাঈ (৩৫)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বিদিশা এলাকার রাজপুত কলোনিতে।
নাবালক পুত্রের অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই মাকে বেধড়ক মারধর করত বাবা হালকেরাম কুশওহা। আগেও একবার বিষ খাইয়ে মেরে ফেলারও চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পর প্রথমেই মাকে খুনের পরিকল্পনা করে হালকেরাম। সেইমতো তাঁদের দুই ছেলেকেই বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয়। এরপর স্ত্রীকে না জানিয়ে ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে পিছন থেকে স্ত্রীকে আক্রমণ করেন। রান্না ঘরে জলখাবার তৈরি করছিলেন দুর্গা বাঈ। আচমকা আক্রমণে তিনি থতমত খেয়ে যান। এমনিতেই স্বামীর মেজাজ মর্জি বুঝতে পারছিলেন না। তার উপরে এভাবে আক্রমণে প্রতিরোধের সময় পাননি। আঠালো কোনও পদার্থ দিয়ে স্ত্রীর নাক, চোখ ও মুখ বন্ধ করে দেয় হালকেরাম। তারপর আঠালো পদার্থের উপরেই নাক চোখ বুঝে বাড়ি পদার্থ দিয়ে আঘাতও করে বলে অভিযোগ। এরমধ্যে কোনও একটা সময় নিথর হয়ে আসেন দুর্গা বাঈ। স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেই বাড়ি থেকে চম্পট দেয় হালকেরাম। একটা সময় বাড়ি ফিরে আসে ছোট ছেলে। সদর দরজা হাট করে খোলা দেখে মাকে ডাকতে ডাকতেই বাড়িতে ঢোকে ওই নাবালক। অন্ধকার ঘটরে মায়ের প্রাণহীন দেহটা দেখে বাবাকে কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে। রাত বাড়লেও বাবা না ফেরায় বুঝতে পারে মাকে খুন করে উধাও হয়েছে হালকেরাম। সকালে স্থানীয় বিদিশা থানায় বাবার বিরুদ্ধে মাকে খুনের অভিযোগ দয়ের করে ওই নাবালক।
খুনের অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। পলাতক হালকেরামের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এই ঘটনা নতুন নয়। ২০১৬-তেই মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায় এমনই ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে হত্যাকারী ছিল স্ত্রী। খুন হন স্বামী। অত্যাচার থেকে বাঁচতেই মদ্যপ স্বামীর চোখে আঠালো পদার্থ আটকে দিয়েই খুন করেন স্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.