প্রতীকী ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এই সব কিছুর জন্য তোমাকে ঘৃণা করাই উচিত ছিল। কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসি।’ স্ত্রীকে দায়ী করেও তাঁকে ভালোবাসার কথা জানিয়েই ‘আত্মঘাতী’ হলেন মুম্বইয়ের এক অ্যানিমেশন শিল্পী। পুলিশ মৃত যুবকের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্ত্রী ও মাসিশাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
একটি হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হয় মৃত যুবক নিশান্ত ত্রিপাঠীর দেহ। অভিযোগ, স্ত্রী অপূর্বা পারেখের নির্যাতনে জেরবার হয়েই তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন বলেই দাবি। নিজের সংস্থার ওয়েবসাইটে সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছেন তিনি। দেখা গিয়েছে তাতে লেখা, ‘হাই বেব, যখন তুমি এটা পড়বে ততক্ষণে আমি বিদায় নিয়েছি। আমার জীবনের এই শেষ মুহূর্তে আমার তোমাকে ঘৃণা করাই উচিত ছিল সবকিছুর জন্য। কিন্তু আমি তা করব না। এই মুহূর্তেও আমি ভালোবাসাকেই বেছে নিচ্ছি। আমি তখনও তোমাকে ভালোবাসতাম, এখনও বাসি। এবং কথা দিচ্ছি, এটা কখনও ফিকে হবে না।’ সেই সঙ্গে তিনি স্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন, ‘আমার মা জানে আমাকে কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে। তুমি ও প্রার্থনামাসি আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। আমার মিনতি, মায়ের কাছে যেও না। মা যথেষ্ট আঘাত পেয়েছে। ওকে শান্তিতে থাকতে দিও।’ তবে কেবল স্ত্রী নয়, মা, ভাই ও বোনের প্রতিও শেষবার্তা রেখে গিয়েছেন নিশান্ত। এবং সবশেষে স্ত্রীর জন্য একটি কবিতাও লিখে গিয়েছেন।
পালঘরের বাসিন্দা নিশান্ত ঘটনার দিন সাহারা হোটেলে এসে ওঠেন। সেখানে তিনদিন ছিলেনও তিনি। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন তিনি। আর তা করার আগে হোটেলের দরজায় লাগিয়ে গিয়েছিলেন ‘ডোন্ট ডিসটার্ব’ বোর্ড। পরে তাঁর ঘরে ফোন করেও সাড়া না পাওয়ায় সন্দেহ হয় হোটেলের কর্মীদের। এরপরই দরজা ভাঙতে দেখা যায়, ভিতরে রয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই যুবকের সংস্থার ওয়েবসাইটে রেখে যাওয়া তাঁর নোট উদ্ধার করে। পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিশান্তের স্ত্রী ও মাসিশাশুড়িকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.