প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাগদত্তাকে অশ্লীল মেসেজ (Dirty message) পাঠালে তাঁকে অসম্মান করা হয় না। এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করল মুম্বইয়ের (Mumbai) এক আদালত। ১১ বছর আগে দায়ের হওয়া এক মামলার শুনানি চলছিল আদালতে। অভিযুক্তের বর্তমান বয়স ৩৬। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
ঠিক কী জানিয়েছে আদালত? এদিন শুনানির সময় আদালতের তরফে ওই ধরনের মেসেজ প্রসঙ্গে বলা হয়, বিয়ের আগে এই ধরনের মেসেজ আনন্দদায়ক হতে পারে। এবং এর থেকে এটাও প্রকাশ পায় যে একজন অন্যের আবেগকে কতটা কাছ থেকে বোঝার চেষ্টা করেছে।
বিচারকের কথায়, ”হতেই পারে যে হয়তো এই ধরনের মেসেজ অপরপক্ষ পছন্দ করল না। তবে তার থেকে এই মানে করা যায় না যে, তা খারাপ উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজের অপছন্দের কথা জানিয়ে দিলে অন্য পক্ষ এমন ভুল আর করে না। অভিযুক্তের মধ্যে যে যৌন অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, সেটাই হয়তো তিনি জাগাতে চেয়েছিলেন উলটো প্রান্তের মানুষটির মধ্যেও। হয়তো এতে তিনি আনন্দ পেতেই পারতেন। তাই এই ধরনের এসএমএস পাঠালে তাকে কোনও ভাবেই সম্মানহানির জন্য পাঠানো হয়েছে বলা যাবে না।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রথম দায়ের হয়েছিল এই মামলা। ২০০৭ সালে প্রথমবার দেখা হয়েছিল ওই যুগলের। বাড়ির অমতেও তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তের মা পরে এমন অশান্তি শুরু করেন, যার জেরে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন ওই ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত ২০১০ সালে তিনি বিয়ে ভেঙে দেন। এরপরই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তরুণী। অবশেষে এই মামলায় অভিযুক্তকে রেহাই দিল আদালত। জানিয়ে দিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকে কোনও ভাবেই প্রতারণা কিংবা ধর্ষণ বলে দাগিয়ে দেওয়া যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.