সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু শাড়ির দোকানেই সেলসম্যান হিসেবে পুরুষরা কাজ করেন। তাঁরাই মহিলা ক্রেতাদের কাছে পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী শাড়ি বিক্রি করেন। তেমনই এক সেলসম্যান (Salesmen) যুবকের বিরদ্ধে এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার (Sexual Abuse) অভিযোগ উঠেছিল। বেশ কয়েক বছর মামলা চলার পর ওই ঘটনায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি বিশেষ আদালত (Special Court)। দোষী সাব্যস্ত যুবককে তিন বছরের কারাদণ্ডের শাস্তি দিলেন বিচারক। যদিও সাজাপ্রাপ্ত যুবকের দাবি, শাড়ির দামে ডিসকাউন্ট বা ছাড় দেওয়া হয়নি বলেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিশেষ আদালতের বিচারক।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে। নির্যাতিতা নাবালিকা ও তাঁর মা অভিযোগ করেছিলেন, যে দোকানে শাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন তাঁরা, সেখানেই সেলসম্যান হিসেবে ছিলেন বছর ২৩-এর ওই যুবক। কেনাকাটার পর নাবালিকার মা বিশেষ কারণে দোকানের বাইরে গিয়েছিলেন, সেই সময় নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করে যুবক। দোকান থেকে বেরিয়েই মায়ের কাছে ঘটনার কথা জানান নাবালিকা। এরপরই নাবালিকার বাবা-মা ওই যুবকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও প্রথম থেকেই ওই যুবক দাবি করে আসছিল, সামান্য কারণে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আসলে শাড়ির দামে ছাড় দেওয়া হয়নি বলেই তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবে বিশেষ আদালতের বিচারপতি সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারক এজে খান (AJ Khan) জানান, কিছু টাকা ছাড় দেওয়া হয়নি, সেই রাগে কোনও মা তাঁর মেয়ের নাম করে এমন অভিযোগ আনতে পারেন না।
বিচরকের বক্তব্য, “এই মামলায় নির্যাতিতার জবানবন্দিই তথ্যপ্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট। এটা প্রত্যক্ষ প্রমাণ। তাঁর সাক্ষ্য সন্দেহাতিতভাবে নির্ভরযোগ্য। অপরাধ প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট।” এরপরই বিচারপতি বলেন, “কেবলমাত্র অল্প কিছু টাকা ছাড় না পাওয়ার জন্যে কোনও মা তাঁর মেয়ের নাম করে এই ধরনের অভিযোগ আনতে পারেন না কারও বিরুদ্ধে।” এইসঙ্গে বিচারক যুবকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.